প্রাক্তন পর্ষদ প্রধান মানিকের সঙ্গে সিবিআইয়ের সেটিং নিয়ে সন্দেহ খোদ বিচারপতির! তীব্র ভর্ৎসনার মুখে সিবিআই
টিডিএন বাংলা ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বরখাস্ত প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে কি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারদের গোপন কোনো সেটিং বা সমঝোতা হয়ে গিয়েছে? এই সংক্রান্ত মামলার তেমন কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় এবং মানিক ভট্টাচার্যকে হেফাজতে নিয়ে কোনো জিজ্ঞাসাবাদ না করার কারণে এমনই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন খোদ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন আদালতে সিবিআইয়ের রিপোর্ট দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক হারে দুর্নীতির অভিযোগে জেলবন্দি আছেন মানিক ভট্টাচার্য। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেওয়ার পরেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি মানিককে। দীর্ঘ এক বছর পূর্ণ হয়েছে তারপরও এই মামলায় যথেষ্ট পরিমাণে অগ্ৰগতি না হওয়ায় আদালতে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে সিবিআই। এমনকি সুপ্রিম কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ আনার বুদ্ধিও সিবিআই আধিকারিকরাই দিয়ে ছিলেন কিনা সেই সন্দেহও প্রকাশ করেছেন বিচারপতি। তবে এবারই প্রথম নয়. এর আগেও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় বার বারই সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
এদিন তিনি বলেন, ‘মানিক ভট্টাচার্যকে কোন দিন হেফাজতে নেয়নি সিবিআই। আমার নির্দেশের পরেও সিবিআই মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। দীর্ঘদিন ছেড়ে রেখে দিয়েছিলেন। মনে হচ্ছে CBI-এর অফিসারদের সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের কোন সমঝোতা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট কোনও সুরক্ষা কবচ দিয়েছে কিন্তু জেরা করতে তো বারণ করেনি। তাহলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না কেন? আমার তো মনে মনে হয়, সুপ্রিম কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ আনার বুদ্ধি সিবিআই আধিকারিকরাই দিয়েছিলেন।’
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, ‘বিস্তারিতভাবে খুঁটিয়ে কেন জিজ্ঞাসা করা হয়নি কেন? কী ধরনের তদন্ত এটা? আমার দিকে তাকিয়ে বসে আছেন। নিজে থেকে কোন উদ্যোগ নেননি। আদৌ কি মনে হয় আপনাদের এটা গুরুত্বপূর্ণ একটা ঘটনা? ইডি-কে কিছু জানিয়েছেন? মানিক ভট্টাচার্যের বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেটা কি হয়েছে? ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২-এর অর্ডার ছিল। তারপর কী এগিয়েছে? কতবার জিজ্ঞেস করেছেন জানতে চাই না। কিছু তথ্য পেয়েছেন কি না সেটাই জানতে চাই। এগুলো তো মামুলি প্রশ্ন।’