HighlightNewsদেশবিনোদন

অবশেষে প্রকাশিত হল বহু প্রতিক্ষিত বিতর্কিত অক্ষয় কুমারের ‘পৃথ্বীরাজ’ ছবি!

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : প্রদর্শিত হল বহু প্রতিক্ষিত ‘পৃথ্বীরাজ’ ছবি। একে একে ফের যখন নির্মাতারা তাঁদের ছবির নতুন মুক্তির দিন ঘোষণা করছে, তখন অক্ষয় কুমারও তাঁর ছবি ‘পৃথ্বীরাজ’-এর মুক্তির কথা ঘোষণা করলেন। যশরাজ ফিল্মসের প্রযোজনায় তৈরি ‘পৃথ্বীরাজ’।

সিনেমা হলে এখনও চলছে ‘সূর্যবংশী’। মাত্র দু’সপ্তাহেই দেড়শো কোটি টাকার বেশি ব্যবসা করে ফেলেছে। এর মধ্যেই নতুন ছবির টিজার প্রকাশ করলেন অক্ষয় কুমার। বলিউডের খিলাড়িকে এবার দেখা যাবে সম্রাট পৃথ্বীরাজ চৌহানের ভূমিকায়।

চন্দ্রপ্রকাশ দ্বিবেদী পরিচালিত এই ছবিতে অক্ষয় কুমারের বিপরীতে রাজকুমারী সংযুক্তার চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে মানুষী চিল্লারকে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সঞ্জয় দত্ত।সিনেমায় চাঁদ বরদাইয়ের ভূমিকায় রয়েছেন সোনু সুদ। তবে মানুষী চিল্লার এটি প্রথম ছবি। কেরিয়ারের প্রথম ছবিতেই এমন চরিত্রে অভিনয় করতে পেরে খুবই আনন্দিত অভিনেত্রী। এখন শুধু দর্শকদের মন জয় করার অপেক্ষা।

করোনা অবহের জেরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বন্ধ ছিল সিনেমা হলের দরজা। আর তার জেরেই স্থগিত ছিল ‘পৃথ্বীরাজ’, ‘পাঠান’, সহ ‘জার্সি’, ‘ট্রিপল আর’, ‘রাধে শ্যাম’-এর মতো বহু প্রতীক্ষিত ছবির মুক্তি দিন ঘোষণা। তাই সেই বাঁধা কাটতেই বুধবার নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল থেকে অক্ষয় কুমার শেয়ার করেন তার আসন্ন ছবি ‘পৃথ্বীরাজ’ এর পোস্টার। সাথে নতুন ছবি মুক্তির দিন ঘোষণা করে লেখেন, ‘আগামী ৩রা জুন বড় পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে ‘পৃথ্বীরাজ।’ হিন্দি, তালিম ও তেলুগু এই তিন ভাষায় মুক্তি পাবে ছবি।’ সাথে লেখেন, ‘খুব শীঘ্রই প্রেক্ষাগৃহে দেখা হচ্ছে।’

মুক্তির আগেই চরমে বিতর্ক, রক্তচক্ষুর মুখে বন্ধ হতে পারে অক্ষয় কুমারের পৃথ্বীরাজ
মুক্তি জানুয়ারিতে। তার আগেই প্রবল বিতর্কে জড়িয়ে পড়ল অক্ষয় কুমার অভিনীত সিনেমা পৃথ্বীরাজ। ইতিমধ্যেই তা হলে দেখানো বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এসেছে।

ছবির নামে অসন্তোষ জানিয়ে ইতিমধ্যেই দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। ছবি মুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন জানানো হয়েছে করণি সেনার তরফে। তার প্রেক্ষিতেই এ ছবিকে সেন্সর বোর্ড ছাড়পত্র দিয়েছে কি না, জানতে চেয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ।

জনস্বার্থ মামলাটিতে করণি সেনার দাবি, হিন্দু সম্রাট পৃথ্বীরাজের চরিত্রকে ছবিতে ত্রুটিপূর্ণ এবং অশ্লীল ভাবে দেখানো হয়েছে। যা হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত হানবে। সে কারণেই ছবিটি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে তারা। মামলাকারীর বক্তব্য, প্রিভিউতেই বোঝা গিয়েছে অক্ষয়কুমার অভিনীত ছবিটি যথেষ্ট বিতর্কিত। তাঁদের আরও দাবি, পৃথ্বীরাজ মোটেও রাজপুত ছিলেননা। তিনি ছিলেন গুজ্জর। পৃথ্বীরাজের বাবা ছিলেন গুজ্জর। পিতার সূত্রে ছেলেও গুজ্জর হওয়াই স্বাভাবিক।

তাছাড়া যাঁর লেখা অবলম্বনে এই সিনেমা তৈরি হয়েছে সেই চাঁদ বরদাই ষোড়শ দশকে এই লেখা লেখেন। তিনি লেখেন পিঙ্গল ভাষায়। কিন্তু পৃথ্বীরাজের রাজত্বকালে ব্যবহার হত সংস্কৃত, পিঙ্গল ভাষা নয়।

গুজ্জররা সাফ জানিয়েছেন সিনেমায় পৃথ্বীরাজকে রাজপুত বলা হচ্ছে। এই রাজপুত শব্দটা সিনেমা থেকে বাদ না দিলে তাঁরা এই সিনেমাকে হলে দেখাতে দেবেন না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন গুজ্জর নেতা হিম্মত সিং।

অন্যদিকে গুজ্জরদের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন শ্রী রাজপুত করণী সেনার মুখপাত্র বিজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। তাঁর পাল্টা দাবি, গুজ্জররা গুজরাট থেকে এসেছিলেন। এঁরাই রাজস্থানে এসে গুজ্জর হয়ে ওঠেন।

গুজরাট থেকে আসায় এঁদের নাম গুজ্জর হয়েছিল বলে দাবি করেন শেখাওয়াত। তাই পৃথ্বীরাজ চৌহানকে নিয়ে তাঁদের দাবি ভিত্তিহীন।

পৃথ্বীরাজ চৌহান রাজপুতই ছিলেন বলে দাবি করেছেন শেখাওয়াত। এখন রাজপুত ও গুজ্জরদের এই টানাপোড়েনের মাঝে পড়ে অক্ষয় কুমারের সিনেমা পৃথ্বীরাজ অবশেষে কতটা ধাক্কা খায় সেদিকে তাকিয়ে সকলে।

এক সাক্ষাতকারে মানুষী চিল্লার বলেন, ‘অবশেষে আমরা জানতে পেরেছি যে কবে সিনেমা হলে ‘পৃথ্বীরাজ’ মুক্তি পাবে। খুবই উত্তেজিত আমরা সকলে। আমি খুবই ভাগ্যবান যে কেরিয়ারের প্রথম ছবিতেই এমন সুযোগ পেয়েছি। আশা করছি আমি এই সুযোগের প্রতি যথার্থ সুবিচার করতে পেরেছি। বাকিটা তো দর্শক জানাবেন। রাজকুমারী সংযুক্তার চরিত্রে অভিনয় করার জন্য আমি খুবই পরিশ্রম করেছি। এমন চরিত্রে অভিনয় করার জন্য আমার উপর অনেক বড় দায়িত্ব ছিল। এটা ভেবেই রোমাঞ্চ অনুভব করছি যে, এই ছবিতে আমার লুক দেখে দর্শক উত্তেজনা প্রকাশ করেছেন। আশা করছি আমার অভিনয়ও দর্শকের ভালো লাগবে। আর সেটাই হবে আমার সবথেকে বড় পরীক্ষা।’

২০১০ সালেই ‘পৃথ্বীরাজ’ ছবির চিত্রনাট্য লিখে ফেলেছিলেন চন্দ্রপ্রকাশ দ্বিবেদী। শোনা যায়, তখন তাঁর পৃথ্বীরাজ হিসেবে পছন্দ ছিল সানি দেওলকে। আর সংযুক্তার ভূমিকায় ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে ভেবেছিলেন পরিচালক। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। তারপর বহু বছর ছবির জন্য কোনও প্রযোজক পাননি দ্বিবেদী।

Related Articles

Back to top button
error: