HighlightNewsদেশ

নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য হওয়াও অপরাধ: ইউএপিএ আইনের উপর ২০১১ সালের রায় বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ) আইনের অধীনে নিষিদ্ধ সংগঠনগুলির সদস্যতার বিষয়ে তার ১২ বছরের পুরানো রায় বাতিল করেছে। কেন্দ্র ও আসাম সরকারের রিভিউ পিটিশনের ওপর রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি এম আর শাহ, সিটি রবিকুমার এবং সঞ্জয় করোলের একটি বেঞ্চ ২০১১ সালের রায় বাতিল করেছে। বেঞ্চ বলেছে, কেউ যদি নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য হয়, তবে তাকে অপরাধী হিসাবে বিবেচনা করে ইউএপিএ (অনলফুল অ্যাট্রোসিটিস প্রিভেনশন অ্যাক্ট)-এর অধীনে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ তার বিরুদ্ধেও মামলা হবে। আদালত ৮ ফেব্রুয়ারি রিভিউ পিটিশনের ওপর শুনানি শুরু করে এবং সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা, সিনিয়র অ্যাডভোকেট সঞ্জয় পারিখের শুনানি করার পর আদেশ সংরক্ষণ করে।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে বিচারপতি মার্কন্ডেয় কাটজু এবং বিচারপতি জ্ঞান সুধা-এর সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ অরূপ ভুঁইয়া বনাম আসাম সরকার, ইন্দ্র দাস বনাম আসাম সরকার এবং কেরালা সরকার বনাম রনিফ মামলায় রায় দেয়৷ বেঞ্চ জানিয়েছে, নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য হলে কিছুই হবে না। একজন ব্যক্তি দোষী নয় যদি না সে সহিংসতার আশ্রয় নেয় বা মানুষকে সহিংসতায় প্ররোচিত করে, অথবা সহিংসতা প্ররোচিত করে জনসাধারণের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা না করে। ২০১৪ সালে, বিচারপতি দীপক মিশ্র এবং বিচারপতি এএম সাপ্রের একটি বেঞ্চ বিষয়টি একটি বড় বেঞ্চে পাঠায়। এরপর কেন্দ্রীয় সরকার একটি আপিল দাখিল করে বলে, সরকারের পক্ষ না শুনে কেন্দ্রীয় আইনের ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

উলফার সদস্য হওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত অরূপ ভূঁইয়া টাডা-এর অধীনে দায়ের করা জামিনের আবেদনের উপর এই রায় দেয় আদালত। ২০১১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি, সুপ্রিম কোর্টে অরূপ ভূঁইয়াকে খালাস দেয়। যাকে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে টাডা আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছিল। এর আগে, কেরালা রাজ্য বনাম রনিফের (২০১১) মামলায় ইউএপিএর অধীনে জামিনের আবেদনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় একই বেঞ্চ একই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছিল। ইন্দ্র দাসের ক্ষেত্রেও একই বেঞ্চ একই মত দিয়েছে।

Related Articles

Back to top button
error: