টিডিএন বাংলা: নির্বাচন আসলেই রাজনৈতিক প্রচারে নেমে পড়েন রাজনৈতিক দলগুলি। শুরু হয়ে যায় জনমোহিনী ও খয়রাতি প্রতিশ্রুতি। কিন্তু এই ধরণের প্রকল্পের কারণে ‘গুরুতর অর্থনৈতিক সমস্যায়’ পড়ছে দেশ। এগুলি আসলে ভোটাদাতাদের ‘ঘুষ’ দেওয়ার মত। এমনই অভিযোগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হলেন বিজেপি নেতা ও আইনজীবী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়। অন্যদিকে এই ধরনের রীতি বন্ধ করতে রাজ্যসভায় আলোচনার জন্য নোটিস দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ সুশীল মোদী।
সেই মামলার রায় দিতে গিয়ে আজ বৃহপতিবার প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণা, বিচারপতি কৃষ্ণ মুরালি এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ বলেছে, নীতি আয়োগ, অর্থ কমিশন, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক, শাসক ও বিরোধী দল এবং এই বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত পক্ষগুলিকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করার প্রস্তাব দিয়েছেন। তাদের ভাষায়, ‘‘যাঁরা খয়রাতি প্রকল্প চান এবং ওই ধরনের প্রকল্পের বিরোধিতা করেন, সেই সঙ্গে নীতি আয়োগ, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করা দরকার। যা থেকে একটি গঠনমূলক সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায়।’’
তবে এই ধরণের আলোচনার বিরোধিতা করে সাংসদ বরুণ গান্ধী একটি টুইট করে লিখেছেন, ‘জনগণকে স্বস্তি দিতেই ওই ধরনের প্রকল্পগুলি চালু হয়। আমজনতার দিকে আঙুল তোলার আগে নিজেদের দিকে তাকানো উচিত। সংসদ সদস্যেরা পেনশন-সহ যে সব সুযোগসুবিধা ভোগ করেন, আমরা সেগুলির দিকে তাকাবো না কেন’?