HighlightNewsআন্তর্জাতিক

ইসরাইলি হামলায় ফিলিস্তিনে অব্যাহত মৃত্যু মিছিল, চুপ সারা বিশ্ব! চলতি বছরেই শহীদ ২০০’র বেশি ফিলিস্তিনি

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: ইসরাইলি সেনাদের ধারাবাহিক ও পরিকল্পিত হামলায় আরব ভূখণ্ড ফিলিস্তিনে অব্যাহত মৃত্যু মিছিল যাদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু ও যুব-যুবতী। কিন্তু শিশু ও তরতাজা যুবক-যুবতীদের এই মৃত্যু মিছিল দেখেও চুপ সারা বিশ্ব! এখনও পাওয়া খবর অনুযায়ী, শুধু এই চলতি বছরেই অর্থাৎ ২০২৩ সালের মধ্যেই শহীদ হয়েছেন ২০০’র বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক। ফিলিস্তিনি তথ্য কেন্দ্রের সরবরাহ করা পরিসংখ্যান থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, সেই মোতাবেক ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনাদের বর্বর আগ্রাসনে চলতি বছরে এ পর্যন্ত ২০৬ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। যদিও প্রকৃত সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। মারাত্মক ভাবে আহত হয়ে বিভিন্ন অঙ্গ হারিয়ে অচল হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন আরও বহুগুন বেশি ফিলিস্তিনি। পাশাপাশি অসংখ্য ফিলিস্তিনি বর্তমানে ইসরাইলি কারাগারে অত্যাচারিত হচ্ছেন। অথচ বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলো যারা সর্বদা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নিষেধাজ্ঞা চাপায় তারা আজ সম্পূর্ণ নিশ্চুপ। কোনো প্রতিবাদ জানাচ্ছেন না বিশ্বের মানবতাবাদের ধজাধারি বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলিও। এই দ্বিচারিতার বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব ফিলিস্তিনিরা।

জানা গিয়েছে, অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে সবচেয়ে বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। এ শহরে ২০২৩ সালে এ পর্যন্ত শহীদ হয়েছেন ৬৪ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক। এর মধ্যে শুধু গত সপ্তাহেই মারা গেছেন ১৩ জন ফিলিস্তিনি। ৪৬ জন ফিলিস্তিন শহীদ হয়েছেন পশ্চিম তীরের নাবলুস শহরে। এছাড়া ৩৭ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন অবরুদ্ধ গাজা শহরের আশপাশে। এর পাশাপাশি রামাল্লা শহরে ১১ জন, আল খলিল বা হেবরন শহরে ১০ জন এবং পূর্ব বায়তুল মুকাদ্দাস বা জেরুজালেম শহরে আট ফিলিস্তিন শহীদ হয়েছেন। এছাড়াও তুলকারাম, কালকিলিয়া, বেথেলহাম, তুবাস এবং সালফিত শহরে ১২ জন শহীদ হন। কিন্তু এই পরিসংখ্যানই শেষ নয়। কারণ এটা একটি সরকারি পরিসংখ্যান। এর বাইরেও বহু মানুষ ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনাদের বর্বর আগ্রাসনের শিকার হয়েছেন।

ফিলিস্তিনিদের প্রতি কেন এমন অত্যাচার চালাচ্ছে? কেন এই হত্যালীলা?

জানা যাচ্ছে, ইসরাইল ১৯৪৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে। প্রতি নিয়ত তারা সেই দখলদারিত্বের সীমা বাড়িয়ে চলেছে। আর ইসরাইলের এই দখলদারিত্বে আমেরিকা ব্রিটেনসহ পশ্চিমা প্রভাবশালী দেশগুলো সরাসরি সহযোগিতা করছে বলে প্রথম থেকেই অভিযোগ করে আসছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলি। বহুবার ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলির সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে ইসরাইল। কিন্তু প্রতিবারই প্রতিরোধ যোদ্ধাদের যুদ্ধ কৌশলের কাছে বেকায়দায় পড়ে যুদ্ধের মাঝ পথে চুক্তি করে যুদ্ধ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে ইসরাইল। ইসরাইলের ধারাবাহিক আক্রমণের কারণে বর্তমানে আবারও একটি যুদ্ধের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এই বর্বর আক্রমণ বন্ধ না হলে চরম শিক্ষা দেওয়া হবে বলে ইসরাইলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওই স্বাধীনতাকামী প্রতিরোধ যোদ্ধারা।

Related Articles

Back to top button
error: