HighlightNewsরাজ্য

দেউচা-পাচামি কয়লা খনির জমি নেওয়ার ক্ষেত্রে স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করা হবে : জেলাশাসক বিধান রায়

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : দেউচা-পাচামি কয়লা খনির জমি নেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে স্থানীয়দের অসন্তোষের সম্মুখিন হতে না হয় তাই আগে থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকার আগেই জনিয়ে দিয়েছিল এলাকার মানুষের সঙ্গে আলোচনা করেই হবে দেউচা-পাচামি কয়লা খনি। জোর করে কারও জমি নেওয়া হবে না। সহমতের ভিত্তিতেই জমি কেনা হবে। সেই মোতাবেক কয়লা খনির জন্য সরকারি প্যাকজও ঘোষণা করা হয়েছে। এবার জমিদাতাদের সঙ্গেও বৈঠকে করল জেলা প্রশাসন। জমিদাতাদের হাতে সরকারের ঘোষিত প্যাকেজ তিনটি ভাষায় ছাপিয়ে এলাকার গ্রামবাসীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জেলাশাসক বিধান রায় জানান, “এই প্যাকেজ নিয়ে এলাকায় চর্চা, আলোচনা, নানান প্রশ্ন উঠবে। আমরা সে নিয়ে এলাকায় গিয়ে পাড়া বৈঠক কিংবা দরকারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আলোচনা করতে রাজি। তবে প্রথম বৈঠকেই আমরা খুশি।”

সরকারিভাবে দিন কয়েক আগেই দেউচা-পাচামি (Deucha Pachami) নিয়ে প্যাকেজ ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা এবং সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে সিউড়িতে রবীন্দ্রসদনে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা বৈঠকে বসলেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প রুপায়নে ইতিমধ্যে অর্থনৈতিক, আইনি ও মন্ত্রিসভায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এখন শুধু কাজ শুরু করার অপেক্ষা। সরকারিভাবে আরও জানানো হয়, দেওয়ানগঞ্জ ও হরিনসিঙা- এই দুই মৌজা থেকেই এশিয়ার বৃহত্তর কয়লাখনির খননের কাজ শুরু হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রাথমিক ভাবে দেওয়ানগঞ্জের ১ নম্বর মৌজা থেকে সরকারি জমিতে ১৫ জায়গায় খননের কাজ শুরু হবে। কয়লা উত্তোলনের জন্য আপাতত এলাকায় মোট ৮০ টি জায়গায় গর্ত খোঁড়া হবে। জেলাশাসক জানান, “ওই এলাকায় তিন ধরনের জমি আছে। বনভূমি, ব্যক্তিগত জমি ও সরকারি খাস জমি। আমরা প্রথমে সরকারি জমি থেকে খননের কাজ শুরু করব। তারপরে যেখানে যেমন জমি প্রয়োজন হবে, সেখানে তেমন জমি নেওয়া হবে।”

কয়লা খনন করার জন্য বনভূমি কাটতে হতে পারে, সেক্ষেত্রে বনভূমির আইন অনুসারে বিকল্প বনভূমির ব্যবস্থা করার স্থানও ঠিক করে রেখেছে সরকার। আদিবাসীদের পুনর্বাসনের জন্য চাদা ও প্যাটেলনগরের সরকারি এলাকাকে ঠিক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার। জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি জানান, ‘ওই এলাকার পাশেই ঝাড়খণ্ড সীমানা। সেখান থেকে কেউ যাতে এসে ঝামেলা না করতে পারে, তার উপর নজরদারি করবে পুলিশ। পাশাপাশি পুলিশ,পিডিসিএল, সাধারণ প্রশাসনকে নিয়ে যৌথ একটি কমিটি গঠন করা হবে। সেখানে স্থানীয় মানুষ তাঁদের অভাব অভিযোগ জানাতে পারবেন।’

Related Articles

Back to top button
error: