রাজ্য

ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অনুমতি দিইনি, বললেন ববিতা: সাক্ষী মালিকের দাবি মিথ্যে, তিনি কংগ্রেসের হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছেন

টিডিএন বাংলা ডেস্কঃ ভারতীয় রেসলিং ফেডারেশনের (ডব্লিউএফআই) প্রাক্তন সভাপতি ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে ধর্নায় সাহায্য করা নিয়ে বিতর্ক কমেনি। রবিবার ববিতা ফোগাট সাক্ষী মালিকের প্রতিবাদ করার অনুমতি পাওয়ার দাবি অস্বীকার করেছেন।

প্রসঙ্গত, সাক্ষী বলেছিলেন, ‘কংগ্রেস সাংসদ দীপেন্দ্র হুডা নয়, বিজেপি নেত্রী ববিতা ফোগাট এবং তীর্থ রানা তাঁকে প্রতিবাদ করতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। প্রতিবাদ করার অনুমতিও পেয়েছেন। সাক্ষী এই সংক্রান্ত একটি চিঠিও দেখান।

অন্যদিকে, সাক্ষীর ওই দাবি অস্বীকার করে ববিতা বলেন, ‘গতকাল আমার খুব খারাপ লাগছিল এবং হেসেছিলাম যখন, আমি আমার ছোট বোন (সাক্ষী মালিক) এবং তার স্বামী দেবের (সত্যব্রত কাদিয়ান) ভিডিও দেখছিলাম। প্রথমেই বলে রাখি, ছোট বোন যে অনুমতিপত্রটি দেখাচ্ছিল সেখানে কোথাও আমার স্বাক্ষর বা সম্মতির কোনো প্রমাণ নেই এবং এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্কও নেই।‘

কুস্তীগির ও বিজেপি নেত্রী ববিতা ফোগাট আর বলেন,’দেশের মানুষ বুঝেছে আপনারা কংগ্রেসের হাতের পুতুল। এখন সময় এসেছে যে আপনি আপনার আসল উদ্দেশ্য বলুন কারণ, এখন জনগণ আপনাকে প্রশ্ন করছে’।
তিনি আরও বলেন, ‘একজন নারী খেলোয়াড় হিসেবে দেশের সব খেলোয়াড়ের পাশে আমি ছিলাম, আছি এবং থাকব, কিন্তু প্রতিবাদের শুরু থেকেই এর পক্ষে আমি ছিলাম না। আমি বারবার সব কুস্তিগীরকে প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে বলেছি। সেখান থেকেই সমাধান হবে, কিন্তু আপনি দীপেন্দর হুডা, কংগ্রেস এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং তাদের সাথে যারা আসছেন, যারা নিজেরাই ধর্ষক এবং অন্যান্য মামলায় দোষী তাদের সাথে সমাধান দেখছিলেন’।

ববিতার দাবি, ‘আজ যখন আপনার এই ভিডিও সবার সামনে, তখন দেশের মানুষ বুঝবে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের শুভ দিনে আপনার প্রতিবাদ এবং গঙ্গায় দেশের জন্য বিজিত পদক ভাসানোর কথা বলা কতটা দেশকে লজ্জিত করার মত বিষয় ছিল’।

এর জবাবে সকাল ১০.০৬ মিনিটে সাক্ষী মালিক বলেন, ‘ভিডিওতে আমরা তীরথ রানা এবং ববিতা ফোগাটকে কটাক্ষ করেছি, কীভাবে তারা কুস্তিগীরদের নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে এবং কীভাবে কুস্তিগীররা সমস্যায় পড়লে তারা গিয়ে সরকারের কোলে বসে পড়েছিল। আমরা অবশ্যই সমস্যায় আছি তবে, হাস্যরসের অনুভূতি এতটা দুর্বল হওয়া উচিত নয় যে, ক্ষমতাবানকে কাটা চিমটি বা কামড়েও আপনি হাসতে পারবেন না’।
উল্লেখ্য, কুস্তীগির সাক্ষী মালিক এবং তাঁর স্বামী সত্যব্রত কাদিয়ান দ্য ট্রুথ শিরোনামে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে ববিতা ফোগাট এবং তীর্থ রানার থেকে সাহায্য পাওয়ার দাবি করেছিলেন। যা নিয়ে পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপির দুই নেতাই।

সোনিপত বিজেপির সভাপতি তীর্থ রানা বলেছেন, ধর্নায় বসে থাকা খেলোয়াড়রা দেশের গর্ব, আমি আগেও তাদের ন্যায়ের লড়াইয়ে তাদের সাথে ছিলাম এবং আজও আমি তাদের সাথে আছি। অমিত শাহ এখন বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন, খেলোয়াড় এবং সরকারের মধ্যে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছিল, এখন শাহ তা পূরণের কাজ করছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি এবার খেলোয়াড়রা ন্যায়বিচার পাবেন। দীপেন্দ্র সিং হুডা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা প্রশ্নে, তীর্থ রানা বলেন, বিজেপি এবং সরকার আগেও খেলোয়াড়দের সাথে ছিল এবং আজও তাদের সাথে রয়েছে।

Related Articles

Back to top button
error: