টিডিএন বাংলা ডেস্ক : কিছু রাজ্য সরকার ইসরায়েলের মতো নীতি গ্রহণ করছে শনিবার এমনই অভিযোগ করেছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড (এআইএমপিএলবি), সেই সাথে তাদের আরও অভিযোগ এই যে “ছোটখাটো” অভিযোগে দলিত ও মুসলমানদের লক্ষ্যবস্তু করার জন্য একটি “বুলডোজার সংস্কৃতি” আরোপ করে তাদের বাড়িঘর ভেঙে দিচ্ছে।খবর পিটিআইএর।
এক বিবৃতিতে এআইএমপিএলবি’র সাধারণ সম্পাদক মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ রহমানি দাবি করেন, বেশ কয়েকটি শহরে মুসলিম ও দলিতদের বাড়িঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন যে কেন্দ্র এবং কিছু রাজ্য সরকার বুলডোজার সংস্কৃতি চাপিয়ে দিয়ে দেশে ইসরায়েলের মতো নীতিগুলি গ্রহণ করছে যা “দেশের জন্য আপত্তিকর এবং লজ্জাজনক কাজ”।
ভারতের ভাবমূর্তি এমন একটি গণতান্ত্রিক দেশ, যেখানে প্রত্যেক নাগরিকের শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ ও বাকস্বাধীনতার অধিকার রয়েছে, কিন্তু সাম্প্রতিক অতীতে সরকারগুলোর মনোভাব ‘”স্বৈরাচারিতে’ পরিবর্তিত হয়েছে বলে অভিযোগ রহমানির।
রহমানি উল্লেখ করেছেন যে, একজন ব্যক্তি যুগ যুগ ধরে পরিশ্রম করে তার বাড়ি তৈরি করে, শুধু সেই ব্যক্তিই নয়, অনেক ক্ষেত্রে তার বাবা-মা, সন্তান-সন্ততি এবং ভাইয়েরা একসাথে থাকে।
একটি পরিবারের যৌথ মালিকানা থাকে। এখন যদি বাড়ির কোনো বড় বা নাবালক ছেলে কোনো অর্থে পাথর নিক্ষেপের আন্দোলনে যোগ দেয় তবে সরকারের পক্ষে একজন ব্যক্তির অপরাধের জন্য পুরো পরিবার, বৃদ্ধ বাবা-মা, নিষ্পাপ শিশুদের শাস্তি দেওয়া কি ঠিক হবে, প্রশ্ন রহমানির।
“ধরুন, মুসলিম ও দলিতদের ৫০টি বাড়ি রয়েছে এবং তাদের কেউই তাদের বাড়ি নির্মাণের অনুমতি নেয়নি, কিন্তু তাদের মধ্যে কয়েকজনকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে এবং ধ্বংস করা হয়েছে কারণ তারা পাথর ছোড়ার সাথে জড়িত ছিল, যেমনটি পুলিশ দাবি করেছে। এটাই কি আইনের সঠিক পথ? রাহমানী বলেন।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকারগুলো নিজেরাই অভিযোগ দায়ের করছে এবং রায় দিচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার যদি অবৈধ নির্মাণের ব্যাপারে সত্যিই সিরিয়াস হত, তাহলে তাদের উচিত জরিমানা পরিশোধের মাধ্যমে ঘর-বাড়ি নিয়মিত করা এবং নতুন নির্মাণের জন্য কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে জনগণকে সুযোগ দেওয়া।