নিজস্ব সংবাদ, টিডিএন বাংলা: গত ২৭ আগষ্ট হরিয়ানায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর সাবির মল্লিককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। গরুর মাংস ভক্ষণ করেছে কথিত মিথ্যা অভিযোগে সাবির মল্লিককে নির্মন ভাবে হত্যা করে গো রক্ষক বাহিনীর সদস্যরা। নিজ পরিবার নিয়ে হরিয়ানায় থাকতেন এবং ফেরির কাজ করতেন সাবির। দেড়বছর এর একটি কন্যাসন্তান রয়েছে সাবির মল্লিকের। ঘটনার দিন দুপুরে সাবির মল্লিককে গো রক্ষক বাহিনীর সদস্যরা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করে বলে জানালেন নিহতের স্ত্রী শাকিলা বিবি। ইতিমধ্যেই গত ৩০ আগষ্ট মরদেহ নিয়ে এসে মাটি দেওয়া হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আজকে জামাআতে ইসলামী হিন্দের একটি প্রতিনিধিদল সাবির মল্লিকের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেন। সাবির মল্লিকের স্ত্রী শাকিলা বিবি, বাবা আবদুল কাদের গাজী, শ্যালক সুজাউদ্দিনের সাথে কথা বলেন জামাআত নেতৃত্ব। প্রতিনিধিদলে ছিলেন জামাআতে ইসলামী হিন্দের রাজ্য সাধারন সম্পাদক মসিউর রহমান, রাজ্য সম্পাদক আব্দুর রহিম, সুজাউদ্দিন আহমেদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সভাপতি সানোয়ার আলী পৈলান, আব্দুল সেলিম মোল্লাহ, সাহাবুদ্দিন তরফদার প্রমুখ। পরিবারের সকলের একটাই দাবি এই অন্যায়ের আমরা বিচার চাই, ইনসাফ চাই আমরা। নিহতের বাবা আবদুল কাদের গাজী পরিষ্কার জানালেন, আমার ছেলের কোনো অপরাধ ছিল না, সে নির্দোষ ছিলো অথচ তাকে হত্যা করা হয়েছে। একই বক্তব্য একসঙ্গে হরিয়ানায় থাকা শ্যালক সুজাউদ্দীনের ।
জামাআতে ইসলামী হিন্দের পক্ষ থেকে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়। জামাআতের পক্ষ থেকে সাবিরের স্ত্রীর হাতে কিছু আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয়। জামাআতে ইসলামী হিন্দের রাজ্য সাধারন সম্পাদক মসিউর রহমান বলেন, এই হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী খুবই পরিকল্পিত ভাবে গোটা দেশজুড়ে এই হিংসা, হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। মসিউর রহমান আরো বলেন, রাজ্য সরকার পরিবারের পাশে থেকে আইনি সাহায্য প্রদান করুক যাতে সাবিরের খুনিরা শাস্তি পায়। হরিয়ানার সরকারের উপরে চাপ প্রয়োগ করা যাতে কোনো অপরাধী রেহাই না পায়। তিনি আরো বলেন, সেই সঙ্গে পরিবারটিকে আর্থিক সাহায্য প্রদানের পাশাপাশি নিহত সাবির মল্লিকের স্ত্রীকে সরকারি চাকরিরদিতে হবে। মসিউর রহমান জানান, রাজ্যে বেকার যুবক যুবতীদের সঠিকভাবে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই, ফলে বাধ্য হয়েই রাজ্যের মানুষদের অন্য রাজ্যে কাজের জন্য ছুটতে হচ্ছে। সঠিকভাবে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্য সরকারকে। যারা পেটের দায়ে ভিনরাজ্যে কাজ করছেন তাদেরও নিরাপত্তার বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুক রাজ্য সরকার।
বিবৃতিটি জামায়াতে ইসলামী হিন্দ পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রাপ্ত