টিডিএন বাংলা ডেস্ক: আর হাতে গুনে মাত্র আটদিন পরে দেশের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নেবেন এন ভি রামানা। নিজের কর্মজীবনের একদম শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে এন ভি রামানা এদিন বলেন, ন্যায়বিচার করা শুধুমাত্র আদালতের কাজ নয়। গণতন্ত্রের সকল স্তম্ভেরই উচিত সাধারণ মানুষের প্রতি ন্যায়বিচার করা। সংবিধান মেনেই সকলকে কাজ করতে হবে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই দেশের আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেছিলেন, কেবলমাত্র আদালতই বিচার করতে পারে।
এডিন সংবিধানের প্রসঙ্গ টেনে এনে বিদায়ী প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা বলেন,“গণতন্ত্রের তিনটি স্তম্ভের আলাদা দায়িত্বের কথা বর্ণনা করা আছে সংবিধানে। কাজেই সংবিধানের মর্যাদা রক্ষা করার ভার সকলের উপরেই রয়েছে।” রামানা আরও বলেন, “সংবিধানের ৩৮ নং ধারায় বলা হয়েছে, ন্যায়বিচার করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সরকারের উপরে। সামাজিক,আর্থিক এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নাগরিকরা যেন সঠিক বিচার পান, সেদিকে সরকারকে নজর রাখতে হবে। শুধুমাত্র আদালতই বিচার করতে পারে, এমন কথা বলার কোনও মানে হয় না।”
রামনা আরো বলেন,“দেশের বৈচিত্র্যকে সম্মান করলে, তবেই দেশের মানুষ প্রকৃত অর্থে সংবিধানের সুবিধা পাবেন। সেই কারণেই বেশ কিছু বছর ধরে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কপি আঞ্চলিক ভাষায় লেখা হয়, যেন সকল মানুষ সহজেই রায়ের বিষয়ে জানতে পারেন।” আইন প্রণয়নের প্রসঙ্গে উল্লেখ করে তিনি বলেন,“আইন তৈরি করার সময়ে জনপ্রতিনিধিরা বুঝতে পারেন না, এই আইন বলবৎ হলে কি কী সমস্যা দেখা দিতে পারে।”
প্রসঙ্গত, দেশের প্রায় সমস্ত আদালতেই প্রচুর মামলা পড়ে রয়েছে। শুধুমাত্র সুপ্রিম কোর্টেই প্রায় সত্তর হাজার মামলা বিচারাধীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। স্বাধীনতা দিবসে এপ্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে রামানা বলেন, কোভিডের কারণে বিচারব্যবস্থা যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। রামানার মতে, মানুষ বিচারের আশায় শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু, সবসময় দ্রুত নিস্পত্তি করা সম্ভব হয় না।
