নিজস্ব সংবাদ, টিডিএন বাংলা: সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রাম নবমীর মিছিলকে ঘিরে ছড়ানো হিংসায় যারা জড়িত ছিল তাদের খুঁজে বার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও এই ঘটনায় যাদের দোকানপাট, অন্যান্য সম্পত্তির ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে সেই সমস্ত ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু কমিশনের কাছে ডেপুটেশন জমা দিল সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন। পাশাপাশি এত দিন হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত সংখ্যালঘু কমিশন কেন আক্রান্ত সংখ্যালঘু এলাকাগুলি পরিদর্শনে যায়নি? প্রশ্ন তুলে অবিলম্বে এলাকাগুলি পরিদর্শনের দাবিও তুলেছে সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন।
বিগত কয়েক দিনের মধ্যে হাওড়া, হুগলী সহ রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় রাম নবমীর মিছিলকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। অস্ত্র শস্ত্র হাতে মুসলিম এলাকার মধ্য দিয়ে মিছিল করার ও উস্কানিমূলক কর্মকান্ডের অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে বেশ কিছু স্থানে মুখমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন উভয় সম্প্রদায়ের লোকেরা। গতকাল মঙ্গলবার সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান সংখ্যালঘু কমিশনের সচিব সাকিল আক্তারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের দাবি পত্র পেশ করেন। তিনি কমিশনের সচিব শাকিল আক্তারকে বলেন, “সংখ্যালঘু মুসলিম সমাজ আতঙ্কিত। আসন্ন হনুমান জয়ন্তী পালনের নামে আবার যেন দুষ্কৃতিকারীরা নিরীহ মানুষের উপরে আক্রমণ না করতে পারে প্রশাসন এবং সরকারকে সংখ্যালঘুদের জান, মাল ও ধর্মীয় স্থানের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।”
সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘু পরিবারগুলিকে সরকারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সংখ্যালঘু কমিশনের দায়িত্বশীলরা কেন স্বত প্রণোদিতভাবে আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শনে যাননি তাও কমিশনের সচিবের কাছে জানতে চান মুহাম্মদ কামরুজ্জামান। কমিশনের সচিব শাকিল আহমেদ সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করেন তারা লিখিত দাবি পত্র হাতে নিয়ে এলাকা পরিদর্শনের বিষয়ে বিবেচনা করবেন।