টিডিএন বাংলা ডেস্কঃ সামনেই লোকসভা ভোট। ইতিমধ্যেই লোকসভা নির্বাচনের শুরু করে দিয়েছে সব শিবিরই। আর এরই মধ্যে দেশের রাজনৈতিক ও নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করে ‘এক দেশ এক ভোট’ রীতি আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা শুরু করেছে শাসকদল বিজেপি। কিন্তু শাসকদল বিজেপির এই ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি দেশের গণতন্ত্র ও সংবিধানের পরিপন্থী বলে অভিযোগ তুলে এর বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠেছে বিরোধীদলীয় জোটের সদস্যরা।
সম্প্রতি ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ স্লোগান তুলেছে বিজেপি। তার মূল কথা হল সারা দেশে লোকসভা নির্বাচনের সময় একইসঙ্গে সমস্ত রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। এতে ভোটের ব্যয় এবং সময় ২টি অনেক কম খরচ হবে বলে দাবি করেছে শাসকদল। তাদের আরো দাবি, ভোটের আদর্শ আচরণ বিধির জন্য বার বার সরকারের উন্নয়নমূলক কাজও থমকে থাকবে না। এক দেশ এক ভোট কার্যকরী করতে ইতিমধ্যেই কমিটি গড়েছে কেন্দ্র। যার মাথায় বসানো হয়েছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে। অন্যদিকে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতির বিরোধিতা করতে একজোটে নেমে পড়েছে বিরোধীরাও। বিরোধীদের অভিযোগ, ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নীতি সংসদীয় গণতন্ত্রের পরিপন্থী এবং সংবিধানেরও পরিপন্থী। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, এনসিপি, সিপিআই এবং মিম এই এক দেশ এক ভোট ধারণার বিরোধিতা করছে।
উল্লেখ্য যে, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলির মোট খরচের পরিমাণ ছিল ৬০ হাজার কোটি টাকা। সেন্টার ফর মিডিয়া স্টাডিজের রিপোর্ট অনুযায়ী এর ৪৫ শতাংশই খরচ করেছে বিজেপি ও তাদের প্রার্থীরা। ফলে বিজেপির এই খরচ কমানোর কথায় বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন শাসকদল কি তাঁর দলের নির্বাচনী ব্যয় কমাবেন?