HighlightNewsরাজ্য

অতিমারির সময়ে ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’এর কাজের কথা বলে ভোট চাওয়ার বিরোধী সিপিএমের একাংশ

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : অতিমারির সময়ে লকডাউনে বিপন্ন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে কাজ করেছিল বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সিপিএমের ছাত্র-যুবরা ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’ নামে বিভিন্ন ধরনের সমাজসেবা মূলক কাজে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু সেই কাজের কথা বলেই কলকাতার পুরনির্বাচনে ভোট চাওয়ার অভিযোগ উঠলো বামপ্রার্থীর বিরুদ্ধে। অতিমারির সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে যে কাজ করা হয়েছিল সেই কথা বলে ভোট চাওয়া কতোটা যুক্তি যুক্ত সেই প্রশ্ন উঠছে। যদিও এই ভাবে ভোট চাওয়ার বিরোধী আলিমুদ্দিনেরই একাংশ।

বেশকিছু ব্যানার-হোর্ডিং এ সিপিএমের প্রতীক ও রেড ভলান্টিয়ার্সদের নাম, লোগো ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কলকাতার পুরনির্বাচনে ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএমপ্রার্থী জয়দীপ ভট্টাচার্য এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘করোনা অতিমারির সময় আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে যে পরিষেবা দিয়েছি, যেভাবে মানুষের পাশে থেকেছি, তার ভিত্তিতেই আমরা মানুষের সমর্থন চাইছি।’’ অন্যদিকে ১২৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী সিপিএমনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের এলাকায় একটি হোর্ডিংয়ে লেখা, “ওয়ার্ডের নির্বাচিত পুরপ্রতিনিধি নয়, কোভিড অতিমারি সময়ে আমদের পাশে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়’। হোর্ডিংয়ে আরও লেখা আছে, “জনতার রান্নঘর, শ্রমজীবী ক্যান্টিন, মুমূর্ষু রোগীকে অক্সিজেন সরবরাহ, হাসপাতালে ভর্তি করা ও স্যানিটাইজেশনের কাজ করেছে রেল ভলান্টিয়ার্স’।

অবশ্য সিপিএমের কলকাতা জেলা কমিটির সম্পাদক কল্লোল মজুমদার এই বিষয়ে বলেন, ‘‘আমাদের প্রার্থীরা কেউই রেড ভলান্টিসার্য়দের কাজের কথা বলে ভোট চাইবেন না। কোথাও যদি এমনটা হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে আমি কথা বলব। আমরা করোনা অতিমারি ও লকডাউনের সময় যে কাজ করেছি, তা সামাজিক তাগিদেই। সেখানে কোনও রাজনীতি ছিল না। তাই সেই পরিষেবার কথা বলে ভোট চাওয়ার প্রশ্ন নেই। বড়জোর কঠিন সময়ে আমরাই যে তাঁদের পাশে ছিলাম, সে কথা ভোটারদের স্মরণ করানো যেতেই পারে।’’

Related Articles

Back to top button
error: