বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির করেও লাভ হল না, অযোধ্যায় ধরাশায়ী মোদি- যোগীর বিজেপি
টিডিএন বাংলা: ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর দিনের আলোয় ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদ ভেঙে দেয় উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। ধর্মান্ধ উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের তাণ্ডব দেখেছে দেশ। তারপর মামলা। দীর্ঘ আইনী লড়াই। কংগ্রেস জামানা শেষে এসেছে মোদীর শাসনকাল। সুপ্রিমকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, মন্দির ভেঙে বাবরি মসজিদ হয়েছে এমন কোনও প্রমাণ নেই। তবুও মন্দির করার পক্ষে রায় দেয় শীর্ষ আদালত! রায়ের পরেই বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-কে রাজ্য সভার সাংসদ করে বিজেপি!
শুধু তাই নয়, হিন্দুত্বের আবেগ উস্কে দিতে গত ২২ জানুয়ারি নরেন্দ্র মোদীর রামমন্দির উদ্বোধনের ছবি তুলে ধরেছিল বিজেপি। সঙ্গে ছিল জোড়া প্রতিশ্রুতি— বারাণসীর জ্ঞানবাপী এবং মথুরার শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমিতে মন্দির ‘প্রতিষ্ঠা’র।
রামমন্দির নির্মাণ, ৩৭০ ধারা বিলুপ্তি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) প্রতিশ্রুতি পূরণের দাবি, ‘এক দেশ এক ভোট’, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরের অঙ্গীকার- ভোট প্রচারের সময় মেরুকরণের সব অস্ত্র প্রয়োগ করে গেরুয়াশিবীর। কিন্তু জনতা নরেন্দ্র মোদির উপর আস্থা রাখেনি।
শেষ খবর অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশের ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩৭টিতে জিতে একক বৃহত্তম দল হয়েছে সমাজবাদী পার্টি। এখানে কংগ্রেস জিতেছে ছ’টিতে। অন্য দিকে, যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল জিতেছে ৩৩টি লোকসভা আসনে। নাগিনা আসনে জিতেছেন দলিত সংগঠন ভীম আর্মির প্রধান তথা আজাদ সমাজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চন্দ্রশেখর আজাদ ওরফে রাবণ। বারাণসীতে ২০১৪ সালে ৩ লক্ষ ৭১ হাজার এবং ২০১৯ সালে ৪ লক্ষ ৭৯ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী l। কিন্তু এ বার ১ লক্ষ ৫২ হাজার ভোটে হারিয়েছেন কংগ্রেসের অজয় রাইকে। অন্য দিকে, কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী রায়বরেলীতে প্রথম বার লড়ে জিতেছেন প্রায় ৪ লক্ষ ভোটে! মোদির থেকে অনেক বেশি ভোটে জয়। সব মিলিয়ে রামমন্দির নির্মান, হিন্দুত্বের শ্লোগান কাজ দেয়নি ভোটে। জনগণ উন্নয়ন চেয়েছে, কাজ চেয়েছে। অনেকে বলছেন, বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অস্ত্র ভোঁতা হয়ে গেল।