HighlightNewsদেশ

ভারতীয় রুপির রেকর্ড পতন; ডলারের বিপরীতে রুপি ৫১ পয়সা কমে ৮০.৪৭ টাকায় খুলেছে

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: ভারতীয় রুপির রেকর্ড পতন হয়েছে। আজ, অর্থাৎ ২২ সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকের বাণিজ্যে, মার্কিন ডলারের বিপরীতে রুপি ৫১ পয়সা কমে সর্বকালের সর্বনিম্ন ৮০.৪৭ টাকায় খুলেছে। এর আগে বুধবার, অর্থাৎ ২১ সেপ্টেম্বর, মার্কিন ডলারের বিপরীতে রুপি ২৬ পয়সা কমে ৮০-তে চলে গিয়েছিল।

এই পতন মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার বাড়ানোর প্রভাবে হয়েছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। উল্লেখ্য, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক বুধবার টানা তৃতীয়বারের মতো সুদের হার বাড়িয়েছে। ইউএস ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল সুদের হার ০.৭৫% বাড়িয়েছেন। সুদের হার ৩-৩.২৫% বৃদ্ধি করা হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে টানা তৃতীয়বারের মতো সুদের হার বাড়ানো হয়েছে।

আমেরিকায় সুদের হার বৃদ্ধির কারণে সেদেশে মুদ্রার মান অর্থাৎ ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে ডলার শক্তিশালী হতে শুরু করেছে। যে কারণে, ডলারের বিপরীতে রুপির মতো অন্যান্য মুদ্রার মূল্য হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভারত থেকে টাকা তুলে নিলে রুপি আরো দুর্বল হয়ে পড়বে।

মুদ্রার ওঠানামার অনেক কারণ রয়েছে। ডলারের তুলনায় অন্য কোন মুদ্রার মূল্য কমে গেলে তাকে বলা হয় সেই মুদ্রার পতন, ভাঙা বা, দুর্বল হওয়া। ইংরেজিতে যাকে বলে কারেন্সি ডেপ্রিসিয়েশান। প্রতিটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে, যেখান থেকে তারা আন্তর্জাতিক লেনদেন করে থাকে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস এবং বৃদ্ধি সে দেশের মুদ্রার গতিবিধি নির্ধারণ করে। ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ডলার যদি মার্কিন রুপির রিজার্ভের সমান হয়, তাহলে রুপির মান স্থিতিশীল থাকবে। আমাদের সাথে ডলার কমলে রুপি দুর্বল হবে, বাড়লে রুপি শক্তিশালী হবে।
এর অসুবিধা হলো, অপরিশোধিত তেল আমদানি ব্যয়বহুল হবে, যা মূল্যস্ফীতি বাড়াবে। দেশে সবজি ও খাবারের দাম বাড়বে। অন্যদিকে, ভারতীয়দের ডলারে দিতে হবে। অর্থাৎ বিদেশ ভ্রমণ ব্যয়বহুল হবে, বিদেশে পড়াশুনাও ব্যয়বহুল হবে।অন্যদিকে সুবিধা হলো, রপ্তানিকারকরা উপকৃত হবেন, কারণ পেমেন্ট হবে ডলারে, যা তারা রুপিতে রূপান্তর করে আরও বেশি আয় করতে পারবেন। এতে বিদেশে পণ্য বিক্রয়কারী আইটি ও ফার্মা কোম্পানিগুলো উপকৃত হবে।

Related Articles

Back to top button
error: