Highlightদেশ

লাক্ষাদ্বীপ এক্টিভিস্ট ফিল্মমেকার আয়েশা সুলতানার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা , প্যাটেল প্রশাসনকে ‘জৈব অস্ত্র’ আখ্যা দেওয়ায়

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: লাক্ষাদ্বীপ পুলিশ বৃহস্পতিবার স্থানীয় বাসিন্দা ও চলচ্চিত্র কর্মী আইশা সুলতানার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেছে , কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির প্রশাসক প্রফুল কে প্যাটেলকে এই দ্বীপের লোকদের উপর জৈব-অস্ত্র ব্যবহার করেছেন বলে অভিহিত করার জন্য।

আইপিসি ধারা ১২৪ (রাষ্ট্রদ্রোহ)এর ​​অধীনে বিজেপির লাক্ষাদ্বীপ ইউনিটের সভাপতি সি আবদুল খাদের এর অভিযোগের ভিত্তিতে কাভারতত্তি থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।

খাদেরের অভিযোগ লাক্ষাদ্বীপে চলমান বিতর্কিত সংশোধনি আইন বিষয়ক মালায়ালাম চ্যানেল ‘মিডিয়া ওয়ান টিভি’ তে সাম্প্রতিক বিতর্কে আয়েশার বয়ান ছিল যে কেন্দ্র দ্বীপে প্রফুল প্যাটেলকে ‘বায়ো-অস্ত্র’ হিসাবে ব্যবহার করছে।
বিজেপির লাক্ষাদ্বীপ ইউনিট মন্তব্যটি নিয়ে প্রতিবাদ করে এছাড়াও কেরালায়ও আয়েশার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিজেপি কর্মীরা।

একজন ফিল্ম প্রফেশনাল আয়েশা , প্যাটেল এর নিয়ে আসা সংস্কার ও বিতর্কিত আইনের বিরুদ্ধে প্রথমসারির মুখ যা লাক্ষাদ্বীপ এবং কেরালায় বিশাল বড়ো প্রতিবাদ তৈরি করেছে।

প্রশাসকের প্রতি তার বিতর্কিত প্রসঙ্গকে জাস্টিফাই করে আয়েশা ফেসবুকে পোস্ট করেন, “টিভি চ্যানেলের বিতর্কে আমি জৈব অস্ত্র শব্দটি ব্যবহার করেছি। আমি অনুভব করেছি যে প্যাটেল ও পাশাপাশি তার নিয়ে আসা নিয়মকানুন গুলো (ব্যাবহৃত) জৈব অস্ত্র। প্যাটেল এবং তার সিধ্যান্ত এর জন্যেই কোভিড -১৯ লাক্ষাদ্বীপে ছড়িয়ে পড়ে। সরকারকে বা দেশকে নয়, প্যাটেলকে আমি জৈব অস্ত্র হিসাবে তুলনা করেছি…। তোমাদের বুঝতে হবে , তাকে আর কী বলব… ”

বৃহস্পতিবার লাক্ষাদ্বীপ সাহিত্য বিষযক সংঘ আয়েশাকে সমর্থন জানিয়েছেন ।“তাকে দেশবিরোধী হিসাবে চিহ্নিত করা ঠিক নয়। প্রশাসকের অমানবিক নিয়মকানুনের বিরুদ্ধে তিনি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিলেন। প্যাটেলের হস্তক্ষেপই লাক্ষাদ্বীপকে কোভিড-আক্রান্ত অঞ্চল করে তুলেছে। লক্ষদ্বীপের সাংস্কৃতিক সম্প্রদায় তার সাথে দাঁড়াবে।’’, সংগঠনের মুখপাত্র কে বাহির জানিয়েছেন।

যদিও ইউটি প্রশাসন জানিয়েছে যে প্যাটেলের বিতর্কিত প্রস্তাবগুলি মালদ্বীপের ন্যায় দ্বীপপুঞ্জকে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে প্রচারের পাশাপাশি বাসিন্দাদের সুরক্ষা এবং মঙ্গল নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কিন্তু বাসিন্দারা এর মাধ্যমে দ্বীপের সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক কাঠামোকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করবে বলে ভাবছেন।

Related Articles

Back to top button
error: