HighlightNewsদেশ

জ্ঞানবাপিতে এএসআই সমীক্ষা বন্ধ করেনি সুপ্রিম কোর্ট: কাঠামোর ক্ষতি না করে সমীক্ষার আশ্বাস দিয়েছে এএসআই

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: শুক্রবার জ্ঞানবাপিতে জরিপের কাজ শেষ হয়েছে। বিকাল ৫টায় জ্ঞানবাপি চত্বর ছেড়ে বেরিয়ে আসে পর্যবেক্ষকদের টিম। শনিবার থেকে পরের দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত জরিপ করবে পর্যবেক্ষকদের টিম। এদিকে, ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ (এএসআই) দ্বারা জ্ঞানবাপির জরিপ অব্যাহত থাকার পক্ষে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার মুসলিম পক্ষের আবেদনের শুনানি করতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, কেন আমরা হাইকোর্টের আদেশে হস্তক্ষেপ করব? এএসআই জরিপে আপত্তি কেন? সমীক্ষায় মুসলিম পক্ষের কোনো ক্ষতি হবে না।


আদালত বলেছে যে পর্যবেক্ষণ অ-আক্রমণাত্মক পদ্ধতিতে করা উচিত। এএসআই স্পষ্ট করেছে যে পুরো পর্যবেক্ষণ কোনও খনন ছাড়াই এবং কাঠামোর কোনও ক্ষতি না করেই সম্পন্ন করা হবে। সুপ্রিম কোর্ট পরামর্শ দিয়েছে, সমীক্ষা করা হোক এবং এরপর রিপোর্ট একটি সিল কভারে জমা দেওয়া হোক। হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন বলেন, প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন যে পর্যবেক্ষণ চলবে। কাঠামোর কোনো ক্ষতি হবে না। প্রধান বিচারপতি বলেছেন, এটা বিবেচনা করা উচিত নয় যে এই ধরনের একটি সমীক্ষা কারও পূর্ব ধারণার পক্ষে বা মুসলিম পক্ষের বিরুদ্ধে যাবে। এটা ভুল। কারণ, এএসআই জানাতে পারে যে এটি আওরঙ্গজেবের সময় বা তার আগে নির্মিত একটি কাঠামো।

অন্যদিকে, মুসলিম পক্ষ সমীক্ষায় সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। আঞ্জুমানে ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক এসএম ইয়াসিন বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি পর্যবেক্ষণে সহযোগিতা করবেন। ইয়াসিন আরও বলেন, বাক-বিতণ্ডার পাশাপাশি গুজবে কান দেবেন না।

উল্লেখ্য, এর আগে, এলাহাবাদ হাইকোর্ট থেকে অনুমতি পাওয়ার পরে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে জ্ঞানবাপিতে সমীক্ষা শুরু করে এএসআই টিম। শুক্রবারের নামাজের জন্য ৪ ঘণ্টা পর অর্থাৎ দুপুর ১২টায় জরিপ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর, বিকেল ৩টা থেকে আবার জরিপ শুরু হয়। এবারের এএসআই টিমে মোট ৬১ জন সদস্য রয়েছেন যা, গতবারের চেয়ে ৪০ সদস্য বেশি।

প্রসঙ্গত, জ্ঞানভাপি চত্বরটি চারটি ব্লকে বিভক্ত। চারদিকে ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ভিডিওগ্রাফি করা হচ্ছে। জ্ঞানবাপির পশ্চিম দেয়ালে সর্বাধিক ফোকাস করা হয়েছে। দেয়ালের সূক্ষ্ম স্ক্যানিং করা হচ্ছে। নিদর্শন দেখা হচ্ছে। এএসআইকে নিয়ে এদিন মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে হিন্দু পক্ষ। তবে, মুসলিম পক্ষ এদিন সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে অস্বীকার করে।

Related Articles

Back to top button
error: