HighlightNewsদেশ

আদানি মামলায় বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে সুপ্রিম কোর্ট: সত্যের জয় হবে, মন্তব্য নন্দন নিলেকানি, গৌতম আদানি সহ ৬ সদস্যের

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: আদানি-হিন্ডেনবার্গ মামলায় ৬ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই কমিটির প্রধান থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এম সাপ্রে। তাঁর সঙ্গে এই কমিটিতে থাকবেন বিচারপতি জেপি দেওধর, ওপি ভাট, এমভি কামাথ, নন্দন নিলেকানি এবং সোমশেখর সুন্দরেসান। বৃহস্পতিবার, প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসিমা এবং জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।
এই কমিটির কাছে বিষয়টির তদন্ত হস্তান্তরের পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্ট ভারতের সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ বোর্ড অর্থাৎ সেবির থেকে স্টকের দামের হেরফের সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদনও তলব করেছে। সেবি-কে ২ মাসের মধ্যে স্ট্যাটাস রিপোর্ট দিতে হবে। আদালত আরও জানিয়েছে, কমিটি গঠন বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি এবং এর তদন্ত প্রক্রিয়ার স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করবে না।
আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি টুইট করে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন- ‘আদানি গ্রুপ সুপ্রিম কোর্টের আদেশকে স্বাগত জানায়। সত্যের জয় হবেই।’
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের কমিটি মূলত: শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক কাঠামো জোরদার করার জন্য ব্যবস্থার পরামর্শ দেবে। অর্থাৎ বাজারে লেনদেন পর্যবেক্ষণ ও নিশ্চিত করা হবে এবং আদানি গ্রুপের শেয়ারের তীব্র পতন সংক্রান্ত বিতর্কের তদন্ত করবে। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট বের হওয়ার পর গ্রুপের শেয়ার কমেছে।
কমিটি ছাড়াও, সেবি তদন্ত করবে, সিকিউরিটিজ কন্ট্রাক্ট রেগুলেশন রুলস এর ১৯(এ) বিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে কিনা? এবং বর্তমান আইন লঙ্ঘন করে শেয়ারের দামে কোনো হেরফের হয়েছে কিনা?
উল্লেখ্য, চুক্তি প্রবিধান বিধিগুলির ১৯(এ) স্টক মার্কেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলির ন্যূনতম পাবলিক শেয়ারহোল্ডিংয়ের সাথে সম্পর্কিত৷ ভারতীয় আইন অনুসারে, যে কোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারহোল্ডিংয়ের অন্তত ২৫% জনসাধারণের অর্থাৎ অ-অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিদের হাতে থাকা উচিত।

হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানি বিদেশে শেল কোম্পানি পরিচালনা করেন। তাঁর মাধ্যমে ভারতের আদানি গ্রুপের তালিকাভুক্ত ও বেসরকারি কোম্পানিতে বিলিয়ন ডলার স্থানান্তর করা হয়। এটি আদানি গ্রুপকে আইন এড়াতে সাহায্য করেছে।
এই মামালায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, সেবি-র চেয়ারপার্সনকে বিশেষজ্ঞ কমিটিকে সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে হবে। একইসঙ্গে, কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে যুক্ত সংস্থাগুলিকে কমিটির সাথে সহযোগিতা করতে হবে। এছাড়া, কমিটি এই কাজের জন্য বাইরের বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করতে পারে। কমিটির সদস্যদের অর্থ প্রদান চেয়ারপারসন দ্বারা নির্ধারিত হবে এবং কেন্দ্রীয় সরকার বহন করবে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন একজন সিনিয়র অফিসারকে মনোনীত করবেন। এই কমিটির খরচা বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার।

Related Articles

Back to top button
error: