Newsদেশ

বাকস্বাধীনতায় আরও বিধিনিষেধ আরোপ করতে রাজি নয় সুপ্রিম কোর্ট: সরকার নয়, একজন মন্ত্রীর বক্তব্যের জন্য মন্ত্রী নিজেই দায়ী, জানাল আদালত

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: মন্ত্রী, সাংসদ ও বিধায়কদের বাকস্বাধীনতায় আরও বিধিনিষেধ আরোপ করতে অস্বীকার করেছে সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার, সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, এর জন্য সংবিধানের ১৯(২) অনুচ্ছেদে প্রয়োজনীয় বিধান ইতিমধ্যেই বিদ্যমান রয়েছে। আদালত জানিয়েছে, কোনো আপত্তিকর বক্তব্যের জন্য শুধুমাত্র ওই মন্তব্যকারী মন্ত্রীকে দায়ী করতে হবে। এর জন্য সরকারকে দায়ী করা উচিত নয়।

বিচারপতি এসএ নাজিরের নেতৃত্বে এদিন শুনানি হয়। এই বেঞ্চে বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি এএস বোপান্না, বিচারপতি ভি রামাসুব্রমানিয়াম এবং বিচারপতি বিভি নাগরত্নও ছিলেন। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা একটি পিটিশনে সরকারি পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদের বাকস্বাধীনতার বিষয়ে নির্দেশিকা তৈরির দাবি জানানো হয়। রাজনীতিবিদদের বক্তব্যের সীমা নির্ধারণের বিষয়টি ২০১৬ সালে বুলন্দশহর গণধর্ষণ মামলায় উত্তরপ্রদেশ সরকারের একজন মন্ত্রী আজম খানের বক্তৃতা পর শুরু হয়েছিল। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে বুলন্দশহর গণধর্ষণকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করেছিলেন আজম। এরপরই বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট অব্দি গড়ায়।

বিচারপতি এসএ নাজিরের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এদিন জানিয়েছে, একজন মন্ত্রীর বক্তব্যের জন্য সরকারকে দায়ী করা যাবে না। এর জন্য মন্ত্রী দায়ী। তবে, বিচারপতি নাগরত্নের মতামত সাংবিধানিক বেঞ্চের থেকে ভিন্ন ছিল।
তিনি বলেন,আর্টিকেল ১৯(২) ছাড়া মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর খুব বেশি সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে না।তবে, কোনো ব্যক্তি মন্ত্রী হিসেবে অবমাননাকর বক্তব্য দিলে এই ধরনের বক্তব্যের জন্য সরকারকে দায়ী করা যেতে পারে। কিন্তু, মন্ত্রীদের বক্তব্য যদি বিক্ষিপ্ত হয়, যা সরকারের অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হয়, তাহলে তা ব্যক্তিগত মন্তব্য হিসেবে গণ্য হবে।

এর আগে, এই মামলায় ১৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট তার রায় সংরক্ষিত করেছিল। ওই সময়, আদালত জানিয়েছিল, পাবলিক পোস্টে বসে থাকা লোকেরা এমন কাজ করবেন না, যা দেশবাসীর জন্য অবমাননাকর। শুনানির সময়, আদালত জানিয়েছিল, এই আচরণ আমাদের সাংবিধানিক সংস্কৃতির অংশ এবং এর জন্য সরকারী পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদের জন্য আচরণবিধি তৈরি করার প্রয়োজন নেই।

Related Articles

Back to top button
error: