টিডিএন বাংলা ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে গতকাল রবিবার লস্কর জঙ্গি অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তালিব হুসেন শাহ সহ আরও ১ জন লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গীকে। জানা গিয়েছে, রেয়াসি জেলার তুকসুন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা অস্ত্র সহ ওই দুই জনকে হাতে নাতে ধরে ফেলে এবং পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ধৃত ওই দুই জন লস্কর জঙ্গির মধ্যে তালিব হুসেনের পরিচয় সামনে আসতেই বিস্মিত দেশবাসী। জানা গিয়েছে, ওই তালিব জম্মুর বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার আইটি ও সোশ্যাল মিডিয়া সেলের ইন-চার্জ। গত ৯ মে রীতিমতো নোটিস দিয়ে তাকে এই পদে নিয়োগ করা হয়। ধৃত ওই দুইজনের কাছ থেকে বিভিন্ন অস্ত্র যেমন- দু’টি একে রাইফেল, বেশ কয়েকটি গ্রেনেড এবং অন্যান্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। এর জন্য অনলাইনে সদস্য হওয়ার সুযোগকেই দুষছেন বিজেপির মুখপাত্র আরএস পাঠানিয়া। তাঁর কথায়, “এই গ্রেফতারির জেরে একটা নতুন ইস্যু উঠে এসেছে। আমার মতে এই নতুন পদ্ধতির জন্যই সমস্যা তৈরি হয়েছে। এখন যে কেউ বিজেপিতে ঢুকে পড়তে পারে।” তবে এখন বিজেপি যে কারণই দেখাক না কেন এই ঘটনায় চাপে পড়ে গিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তালিবের সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের বিজেপি প্রেসিডেন্ট রবীন্দ্র রায়নার সঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠছে কিভাবে সে বিজেপির মিডিয়া সেলের দায়িত্ব পেল?
দুই জঙ্গিকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য গ্রামবাসীদের পুরস্কৃীত করবে প্রশাসন। জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা ৫ লাখ টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। জম্মুর এডিজি মুকেশ সিং ২ লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে টুইট করেন। এই ঘটনায় বিজেপিকে কটাক্ষ করে তৃণমূল কংগ্রেসর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘জঙ্গি, খুনি থেকে সবরকমের দুষ্কৃতীকে আশ্রয় দিয়েছে বিজেপি দলটি। আমাদের দেশ মারাত্মক বিপদে পড়েছে। দেশবাসীকে অন্ধকারে ও ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্যে দুই ‘অদক্ষ’ শীর্ষ নেতৃত্বকে ধন্যবাদ।’