HighlightNewsদেশ

বিলকিস বানো মামলায় দোষীদের মুক্তির বিরুদ্ধে আবেদনের শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় গুজরাট সরকারের ১১জন দোষীর মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ করে একটি আবেদনের শুনানি করতে সম্মত হয়েছে। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) পলিটব্যুরোর সদস্য সুভাষিনী আলি, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং অপর এক আবেদনকারী বিলকিস বানো মামলায় দোষীদের মুক্তির বিরুদ্ধে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করেছিলেন।

বিচারপতি এন. ভি. রমনার নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় দোষীদের শাস্তি মুকুন করা এবং এর কারণে তাদের মুক্তির বিরুদ্ধে বরিষ্ঠ আইনজীবী কপিল সিবাল এবং আইনজীবী অপর্ণা ভাটের দলিল শুনতে সম্মতি জানিয়েছে। এদিন আইনজীবী কপিল সিবাল বলেন, “আমরা শুধুমাত্র অব্যহতিকে চ্যালেঞ্জ করছি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে নয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সঠিক। যে নীতির ভিত্তিতে ছাড় দেওয়া হয়েছিল আমরা সেই নীতিগুলিকে চ্যালেঞ্জ করছি।”

প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট এর আগে গুজরাট সরকারকে অব্যাহতির আবেদনটি বিবেচনা করতে বলেছিল। ২০০২ সালে সাবরমতী এক্সপ্রেসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ব্যাপক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয় গোটা গুজরাট জুড়ে। সেই সময়েই ২১ বছর বয়সি তরুণী বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ করা হয়। ঘটনার সময়ে গর্ভবতী ছিলেন বিলকিস। দাঙ্গার ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়েই তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। শুধু তাই নয়, তাঁর তিন সন্তানকেও খুন করা হয়। তাঁর পরিবারের সাত সদস্যকে গণধর্ষণ ও হত্যা করা হয়। এই মামলায় ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২১ শে জানুয়ারী, ২০০৮ সালে মুম্বইয়ের একটি বিশেষ সিবিআই আদালত বিলকিস বানোর পরিবারের সাত সদস্যকে হত্যা এবং গণধর্ষণ করার জন্য ১১ জন অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। পরে এই সিদ্ধান্ত বম্বে হাইকোর্টও বহাল রাখে।

বিলকিস বানোর গণধর্ষণ এবং তাঁর পরিবারের সাত সদস্যকে হত্যার ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১১ জন আসামিকে ১৫ আগস্ট গোধরা সাব-জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। গুজরাট সরকারের সাধারণ ক্ষমা নীতি অনুযায়ী এই মামলার দোষীদের শাস্তি মুকুব এবং মুক্তি দেওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।

Related Articles

Back to top button
error: