Highlightদেশ

ওরা আকাশে ওড়ার স্বপ্ন দেখতো এখন সত্যিই আকাশে ওড়ে

টিডিএন বাংলা ডেস্ক:  ৭২ তম প্রজাতন্ত্র দিবসে ভাবনা কান্থ প্রথম মহিলা পাইলট হিসেবে চাপড় উড়িয়ে নিয়ে গেলেন দিল্লির রাজপথের উপর দিয়ে। বিহারের দ্বারভাঙ্গার ধৌর নামের এক গ্রামের মেয়ে ভাবনা কান্থ। ছোটবেলায় বাড়িতে বসে টেলিভিশনে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ দেখতেন, আর মনে মনে নিজেকে কল্পনার মাধ্যমে উড়িয়ে দিতেন ওই রাজপথের আকাশে, তবে তখন তিনি কখনো কল্পনা করেননি তার এই স্বপ্ন বাস্তব পরিণতি লাভ করতে পারে। ৭৩ তম প্রজাতন্ত্র দিবসে ভাবনা কান্তের সেই সপ্ন বাস্তবতা লাভ করেছে। মঙ্গলবার প্রজাতন্ত্র দিবসে অংশ নিলেন দেশের প্রথম মহিলা বায়ুযুদ্ধ বিমান চালক ভাবনা কান্থ। বর্তমানে রাজস্থানের বিমান ঘাঁটিতে কর্মরত ফ্লাইট লেফ্টটেন্যান্ট ভাবনা কান্থ মিগ-২১ বাইসান ফাইটার জেটের পাইলট। ছোটবেলায় আকাশে ওড়ার স্বপ্ন দেখলেও তার বাবার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেন, তার বাবা একজন ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার। ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পাশ করবার পর অনেক নামি চাকরিও পেয়ে যান, কিন্তু ছোটবেলায় সেই যে সে আকাশে ওড়ার স্বপ্ন দেখতো। সে স্বপ্ন মনে মনে সুপ্ত থাকায় তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজের স্বপ্ন উড়ানে লেগে পড়েন, ২০১৬ সালে যোগদেন ভারতীয় বায়ুসেনায়। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমি এখন মিগ-২১ চালাচ্ছি তবে ভবিষ্যতে রাফাল এবং সুখাই ও আকাশে উড়াতে চাই।

গ্রামের সমস্ত বাধা গণ্ডি ভেঙে আরো একটি গ্রামের মেয়ে সাত্ত্বী রাঠোর ও ৭২ তম প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রথম মহিলা পাইলট হিসেবে চাপড় উড়িয়ে নিয়ে গেলেন দিল্লির রাজপথ এর উপর দিয়ে। স্বাতীর জন্ম রাজস্থানের নাগৌর জেলার এক গ্রামে। স্কুল শেষ হবার পর যোগ দেন এনসিসিতে। স্বাতীর বাবা-মাও এনসিসিতে স্বর্ণ পদক পেয়েছেন, তারা মেয়ের ইচ্ছেতে কোনো বাধা দেননি। ২০১৩ সালে স্বাতী রাঠোর আইএএফ এর কমন এডমিশন টেষ্টে উত্তীর্ণ হন। ২০১৪ সালে তিনি ডাক পান দেরাহদুন এয়ারফোর্স সিলেকশন বোর্ডের ইন্টারভিউয়ে।সেখানে ২০০ জন মহিলার মধ্যে মাত্র পাঁচজন সুযোগ পায়, তার মধ্যে স্বাতী রাঠোর একজন। ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট স্বাতী রাঠোর সংবাদমাধ্যমে বলেন, “সুযোগ সর্বত্র ছড়িয়ে আছে,সেটা কুড়িয়ে নেওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। তবে বাবা মায়েদের ও তাদের সন্তানদের পছন্দ অপছন্দকে বুঝতে হবে। তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে সাহায্য করতে হবে।” সাত্ত্বীর বাবা ভবানি সিং রাঠোর মেয়ের সাফল্যে গর্বিত। এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজ সাত্ত্বীর কৃতিত্বকে কুর্নিশ জানিয়েছেন।

Related Articles

Back to top button
error: