HighlightNewsরাজ্য

রাজনীতি ছাড়তে চলেছেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস! পদ না পাওয়াই কি কারণ জল্পনা তুঙ্গে

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: খুব তাড়াতাড়িই সক্রিয় রাজনীতি ছাড়তে চলেছেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। একটি সমাবেশের এক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে তিনি বলছেন, ‘‘আমাকে ধরে রাখা খুব কঠিন। সময় এলেই দলকে জানিয়ে দেব যে, আর রাজনীতি করতে চাই না।’’ কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে সক্রিয়তার সঙ্গে রাজনীতি করার পর হঠাৎ কেন রাজনীতি ছাড়ার কথা বলছেন তাপস রায়। দলের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কোনো পদ না পাওয়ার কারণেই কি ক্ষুদ্ধ হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন এমন জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।

সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভা রদবদলের সময়, তাপসকে মন্ত্রী করার জল্পনা চাউর হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে মন্ত্রী করা হয়নি। এর আগে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁকে মন্ত্রি করা হয়ে ছিল। তবে বিধানসভা নির্বাচনের পর নতুন মন্ত্রিসভায় তিনি জায়গা পাননি। তাঁর পরিবারের অন্য কোনো সদস্য অবশ্য রাজনীতিতে নামেননি। তাঁর পুত্র বর্তমানে আমেরিকায় কর্মরত, মেয়েও কলকাতায় বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন।

রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়া প্রসঙ্গে ভিডিয়োতে তাপস বলেন, ‘‘ওই সভায় ছেলেরা যখন আমার কাছ থেকে বক্তৃতা শোনার আবেদন করছিল, তখন আমি বলি, সব কিছু শেষ করার একটা সময় থাকে। সে ভাবেই আমাকেও শেষ করতে হবে। আমাকে ধরে রাখা সহজ নয়। তাই যখন সময় হবে, তখন দলকে নিজের রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেব।’’

তাপস কলকাতা পুরসভার দু’বারের কাউন্সিলর। বিদ্যাসাগর ও বড়বাজার কেন্দ্র থেকে বিধায়কও হয়েছিলেন। তাপসের রাজনীতিতে উত্থান ছাত্র রাজনীতি থেকে। এক সময় কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ছাত্র পরিষদের সভাপতিও হয়েছিলেন। প্রদেশ কংগ্রেসের রাজনীতিতে সোমেন মিত্রর অনুগামী বলেই পরিচিত ছিলেন তিনি। পরে অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে যোগ দেন তৃণমূলে। ২০১১ সালে তাঁকে বরাহনগর থেকে প্রার্থী করেন মমতা। সেই আসন থেকে পর পর তিন বার বিধায়ক হয়েছেন তিনি। ও জায়গা দিয়েছিলেন মমতা। এই মন্তব্য প্রসঙ্গে পরে প্রশ্ন করা হলে তাপস বলেন, ‘‘সব কাজেই তো অবসরের বয়স রয়েছে, রাজনীতিতে কেন থাকবে না? আমি মনে করি, রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার একটি নির্দিষ্ট বয়স থাকা উচিত। যদি রাজনীতিই ছেড়ে দিই, তা হলে আর বিধায়ক পদ আঁকড়ে ধরে রাখব না।’’

Related Articles

Back to top button
error: