HighlightNewsদেশ

কোলহাপুরে আওরঙ্গজেবের পোস্ট নিয়ে হিংসাত্মক সংঘর্ষ: হিন্দু সংগঠনের প্রতিবাদের পর চলল লাঠি, ছোঁড়া হল পাথর; লাঠিচার্জ করে পুলিশ

টিডিএন বাংলা ডেস্কঃ আওরঙ্গজেবের প্রশংসা করে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টকে কেন্দ্র করে বুধবার মহারাষ্ট্রের কোলহাপুরে দুটি গ্রুপের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয় পক্ষের তরফে লাঠিসোঁটা ও পাথর ছোঁড়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়।

কোলহাপুরের এসপি মহেন্দ্র পণ্ডিত বলেছেন, মঙ্গলবার, আওরঙ্গজেবের প্রশংসায় একটি পোস্ট হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ভাইরাল হয়েছিল। এর প্রতিবাদে, বুধবার কোলহাপুর বনধ ঘোষণা করেছিল হিন্দু সংগঠনগুলি। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলা জানিয়েছেন এসপি।


পন্ডিত জানান, আজ শহরের দশেরা চক, টাউন হল, লক্ষ্মীপুরা প্রভৃতি এলাকায় ঢিল ছুঁড়ে বিক্ষোভ করে সংগঠনগুলো। এতে গোটা জেলায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে লাঠিচার্জ করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এখানে লক্ষ্মীপুরা থানায় হোয়াটসঅ্যাপ পোস্টের বিষয়ে দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।


মহারাষ্ট্রের ডেপুটি সিএম দেবেন্দ্র ফড়নবিস বলেছেন, যারা ঔরঙ্গজেবের প্রশংসা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ধরনের অপকর্ম বরদাস্ত করা হবে না। ফড়নবীস বিক্ষোভকারী জনগণকে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন করেছেন। একই সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেও জনগণকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন।

এনসিপি প্রধান শারদ পওয়ার এই ঘটনা নিয়ে বলেছেন, কেউ যদি আওরঙ্গজেবের প্রশংসা করে ছবি বা পোস্টার লাগায়, তাহলে আইনশৃঙ্খলার ওপর হামলা বা সহিংসতার দরকার আছে? পওয়ারের অভিযোগ, শাসক দল এই ধরনের প্রবণতাকে উৎসাহিত করে।


তাঁর মতে, কিছু মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে বৈষম্য করছে। রাষ্ট্রে শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব শাসকদের, কিন্তু তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা রাজপথে নামতে শুরু করলে অহিংসার মাধ্যমে তিক্ততা সৃষ্টি করা ঠিক নয়। যা ঘটছে তার পিছনে একটি আদর্শ আছে।

Related Articles

Back to top button
error: