টিডিএন বাংলা ডেস্ক: সোমবার সকালে তৃণমূলের তিন বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে নিজাম প্যালেসে তুলে নিয়ে আসে সিবিআই। এরপরই নিজাম প্যালেসে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিন ঘন্টা ধরে নিজাম প্যালেসের ভেতরেই থাকেন মুখ্যমন্ত্রী।সূত্রের খবর অনুযায়ী সিবিআইকে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, তাঁকে গ্রেফতার করা হোক, তা না হলে তিনি নিজাম প্যালেস ছেড়ে যাবেন না। এদিকে ততক্ষনে নিজাম প্যালেস এর বাইরে ভিড় জমাতে শুরু করেন তৃণমূলের নেতা কর্মী সমর্থকরা। দলীয় পতাকা নিয়ে শুরু হয় স্লোগান।কাতারে কাতারে ভিড় জমা হতে থাকে নিজাম প্যালেসের বাইরে। বাধ্য হয়ে নিজাম প্যালেস এর সামনের রাস্তা বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এর ফলে বাইরে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় উপস্থিত নিরাপত্তা বাহিনীর।
উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা নিজাম প্যালেস চত্বর। অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয় এজেসি বোস রোড। নিজাম প্যালেসের গেটের কাছে পরপর ব্যারিকেড বসিয়ে দেওয়া হয়। এতে তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকরা এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠেন যে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। ঘন্টার পর ঘন্টা অবস্থান-বিক্ষোভ এরপর নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বচসা এবং ধাক্কাধাক্কি শুরু হয় তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের। অভিযোগ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করে বাহিনী। এতে আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পাল্টা বাহিনীকে লক্ষ করে ইট-বৃষ্টি শুরু করে তৃণমূল সমর্থকরা। নিজাম প্যালেস এর ভেতরে ছোঁড়া হয় পাথর, বোতল, জুতো। নিজাম প্যালেসের গেট ধরে টানাটানি করে, লাথি মেরে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। হামলার মুখে কার্যত পিছু হটতে হয় নিজাম প্যালেসের গেটে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে রাজ্য ও কলকাতা পুলিশ। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে ধৃত নেতা-মন্ত্রীদের আদালতে পেশ করার জন্য বাইরে নিয়ে আসা অসম্ভব হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়ে ভার্চুয়ালি শুনানির জন্য আবেদন জানায় সিবিআই।