টিডিএন বাংলা ডেস্ক : করোনা আবহে সংগঠিত ক্ষেত্রে কতজন বেকার হয়েছেন? লোকসভায় তারই পরিসংখ্যান পেশ করলেন কেন্দ্রীয় শ্রম প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি। মন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২০ এর ২৫ মার্চ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউনে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ। বিরোধীদের প্রশ্ন, এদের মধ্যে কতজনকে পুনর্বাসন দেওয়া সম্ভব হয়েছে?
অসংগঠিত ক্ষেত্রে রোজগার হারিয়েছেন বহু মানুষ। এইসব মানুষদের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অসংগঠিত ক্ষেত্রে ঠিকা শ্রমিক বা চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের অধিকাংশই কোনও পার্মানেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বর নেই। এঁরা কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ সংগঠন বা ইপিএফও- র তালিকাভুক্ত নন। তাদের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার নির্লিপ্ত। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। করোনা আবহে বেকার হয়েছেন কতজন সেই নিয়ে লিখিত প্রশ্ন করেছিলেন ডিএমকে সাংসদ আরএস পার্থিবন। সংগঠিত ক্ষেত্রে উত্তর দিলেও, অসংগঠিত ক্ষেত্রে নিয়ে চুপ সরকার।
কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, লকডাউনে মহিলা ও পুরুষ মিলিয়ে উৎপাদন ক্ষেত্রে রোজগার হারিয়েছেন ১৩ লক্ষের বেশি মানুষ। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেন, করোনার সময় সংগঠিত এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রে প্রভাব পড়েছিল। দুটি ক্ষেত্রে কতজন মানুষ বেকার হয়েছে তা জানতে চাওয়া হলেও, শুধুমাত্র সংগঠিত ক্ষেত্রের উত্তর দেওয়া হচ্ছে। এখানেই বোঝা যাচ্ছে সরকারের অভিপ্রায়।