HighlightNewsদেশ

ডিইউ সিলেবাস থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে ‘সারে জাহান সে আচ্ছা’-র রচয়িতা কবি ইকবালের অধ্যায়: রেজুলেশন পাস করেছে একাডেমিক কাউন্সিল 

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: ‘সারে জাহান সে আছা হিন্দুস্তান হামারা’-র রচয়িতা কবি আল্লামা মুহম্মদ ইকবালের অধ্যায় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচি থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে। শুক্রবার ডিইউ-এর অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল এই সংক্রান্ত একটি রেজুলেশন পাস করেছে। উল্লেখ্য, আধুনিক ভারতীয় রাজনৈতিক চিন্তাধারা শিরোনামের অধ্যায়টি বিএ-এর ষষ্ঠ সেমিস্টারের সিলেবাসের অংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, এটি অপসারণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যনির্বাহী পরিষদকে তথ্য দেওয়া হবে, তারাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। আগামী ৯ জুন কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রসঙ্গত, ১৮৭৭ সালে শিয়ালকোটে জন্মগ্রহণকারী আল্লামা মুহাম্মদ ইকবাল পাকিস্তানের জাতীয় কবি। তিনি পাকিস্তান গড়ার ধারণার জন্ম দেওয়ার জন্যও পরিচিত।

 

সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে, সিলেবাসে মোট ১১টি অধ্যায় রয়েছে। এগুলিতে, রাজা রামমোহন রায়, পণ্ডিতা রমাবাই, স্বামী বিবেকানন্দ, মহাত্মা গান্ধী এবং ভীমরাও আম্বেদকরের মতো ব্যক্তিত্বদের চিন্তাধারা সম্পর্কিত অধ্যায়গুলিও এই পাঠ্যক্রমের অংশ। এর মধ্যে ইকবাল কমিউনিটি নামে একটি অধ্যায় রয়েছে, সেটি অপসারণের প্রস্তাব পাস হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ-এর সাথে সংশ্লিষ্ট অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ, ডিইউ-এর এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে৷ এবিভিপি দিল্লি শাখার তরফে টুইট করে বলা হয়েছে, “দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল সিলেবাস থেকে মোহাম্মদ ইকবালকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি ছিলেন পাকিস্তানের দার্শনিক পিতা এবং একজন উগ্র মানসিকতার ব্যক্তি। জিন্নাহকে মুসলিম লীগের নেতা বানানোর পেছনে ইকবালের বড় হাত ছিল। ভারত ভাগের জন্য জিন্নাহ যতটা দায়ী, ইকবালও ততটাই দায়ী।”

অন্যদিকে, ইকবালের অধ্যায় সিলেবাস থেকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন পাঁচ সদস্য। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক শনিবার বিকেল পর্যন্ত চলে। পরিষদের একশ সদস্যের মধ্যে পাঁচজন সিলেবাস পরিবর্তনের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। তাঁরা এই সিদ্ধান্তকে বিভেদমূলক আখ্যা দিয়েছেন।

Related Articles

Back to top button
error: