HighlightNewsরাজ্য

সাম্প্রদায়িক অত্যাচার এবং জেহাদি হামলা ঠেকাতে ১৮ ঊর্ধ্বদের সামরিক প্রশিক্ষনের কথা বলে মোদী কে চিঠি বিধায়ক অভিনেতা হিরণের

টিডিএন বাংলা ডেস্কঃ ‘বাংলার ও কেরলের’ ১৮ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের বাধ্যতামূলকভাবে সামরিক প্রশিক্ষণের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন খড়গপুরের বিজেপি বিধায়ক অভিনেতা হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায় ওরফে হিরণ। পাশাপাশি তাঁর প্রস্তাব সীমান্ত সংঘর্ষ এবং জঙ্গি হামলার শহিদ জওয়ানদের পরিবারকে ‘তেরঙ্গা পরিবারের’ মর্যাদা দিক কেন্দ্রীয় সরকার।

মোদী-কে লেখা দু’পাতার চিঠিতে হিরণ লিখেছেন, ‘সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে কেরল এবং বাংলার বিশেষত হিন্দু পরিবারগুলির উপর সাম্প্রদায়িক অত্যাচার এবং জেহাদি হামলা ঠেকাতে এই পদক্ষেপ করা দরকার’। চিঠিতে শহিদ জওয়ানদের পরিবারকে ‘তেরঙ্গা পরিবার’-র মর্যাদা দেওয়া-সহ আরও বেশ কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। যেমন, রাজ্য- জেলা- মহকুমা- ব্লক, এমনকী পুরসভা-পঞ্চায়েত স্তরেও ১৫ অগস্ট, ২৬ জানুয়ারির সরকারি অনুষ্ঠানে শহিদ সেনা পরিবারের সদস্যদের প্রধান অতিথি করা, শহিদদের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের নামকরণ, রেলস্টেশন-রাস্তা-সরকারি দফতরের সামনে সংশ্লিষ্ট এলাকার শহিদ জওয়ানদের নামে ফলক বসানো, শহিদ দিবসে অনুষ্ঠান করা।

খড়গপুরের বিজেপি বিধায়কের প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠির বয়ান অনুযায়ী, ১৫ আগস্ট কিংবা ২৬ জানুয়ারি এলাকায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের জন্য শহিদ জওয়ানদের পরিবারকে আমন্ত্রণ জানাতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে এই পরিবারের সদস্যরাও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। ওই বিশেষ দিনগুলিতে সরকারি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তাঁদের আমন্ত্রণ করতে হবে।
শহিদ জওয়ানদের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং হাসপাতালের সুপারিশ করেছেন হিরণ। রেলস্টেশন-রাস্তা-সরকারি দপ্তরের সামনে সংশ্লিষ্ট এলাকার শহিদ জওয়ানদের নামের ফলক বসানোর সুপারিশও করা হয়েছে। চিঠিতে শহিদ জওয়ানদের মৃত্যুবার্ষিকী পালনের কথাও বলেছেন তিনি।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই বিজেপির নয়া সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মত পার্থক্যের জেরে দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল। সময়ের সঙ্গে সেই দূরত্ব ক্রমশ বেড়েছে। পরিস্থিতি এমন হয় যে, কার্যত মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে যায় এই দুইয়ের। দলের অনুষ্ঠানে তাঁদের একসঙ্গে দেখা যায় না বহুদিন হল। বর্তমানে দলের কোনও অনুষ্ঠানেই দেখা যায় না হিরণকে। যা স্বাভাবিকভাবেই উসকে দিয়েছিল তাঁর দলত্যাগের বিতর্ক। কিন্তু এদিনের হিরণের চিঠি সেই জল্পনায় জল ঢেলে দেয়।

Related Articles

Back to top button
error: