রাজ্য

শীতলকুচিতে আত্মরক্ষায় গুলি চালানোর যুক্তি ধোপে টেকে নাঃ সৌমিত্র দস্তিদার

টিডিএন বাংলা ডেস্কঃ শীতলকুচিতে তথাকথিত আত্মরক্ষায় গুলি চালানোর যুক্তি যে ধোপে টেকে না তা অতি বড় বিজেপি সমর্থকও জানে। মন্তব্য করেন বিশিষ্ট চিত্র পরিচালক সৌমিত্র দস্তিদার ঠান্ডা মাথায় এই নৃশংস মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গা ঘিনঘিনে,অশ্লীল নীরবতায় অনেকে অবাক হলেও আমি হচ্ছি না ।কারন এই লোকটির নেতৃত্বেইতো গুজরাত গনহত্যা ঘটেছিল ।মহল্লার পর মহল্লায় পুলিশ আধা সেনা ও সংঘপরিবারের লুম্পেনেরা তান্ডব চালিয়েছিল সেদিন ।মনে আছে আহমেদাবাদ এ এক প্রাক্তন পুলিশ অফিসার সখেদে জানিয়েছিলেন যে দাঙ্গা হলে পুলিশ সবসময় গরিষ্ঠের পক্ষ নেয়।গো বলয়ে এরকম অজস্র উদাহরণ আছে যেখানে পুলিশ সরাসরি দলিত আদিবাসী সংখ্যা লঘু নিধনে পক্ষ নিয়েছে ।এই সেদিন বিহার বিধানসভায় আইন পাস হয়েছে প্রয়োজনে কাউকে ওয়ারেন্ট ছাড়াই গ্রেপ্তার করা যাবে ।আর এস এসের ডকট্রিনেতো বলাই আছে যে হয় দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হয়ে বেঁচে থাকো।না হয় রাষ্ট্রের বুলেটে ঝাঁঝরা হওয়াই তোমার ভবিতব্য ।আজকের গুলি চালানোর ধরনধারণে শুধু নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ের ওপর চরম ঘৃনা,বিদ্বেষ নয় অত্যন্ত উগ্র শ্রেনী ঘৃনারও প্রকাশ ঘটেছে ।এর দায় নিঃসন্দেহে চরম দক্ষিণ পন্থী শাসকদের ।পাশাপাশি তাদের দোষ কিছু কম নয় যারা সবসময় ব্যালেন্সের খেলা ঠিক রাখতে বছরের পর বছর ধরে দুই মৌলবাদই সমান বিপদ বলে বড় মৌলবাদকে আড়াল করতে প্রগতিশীল সাজেন।তারা জানেন না বা জানতে চান না এদেশের রাষ্ট্র,সরকার নিয়ন্ত্রিত যাবতীয় প্রতিষ্ঠানের বিরোধিতা করার ইচ্ছে থাকলেও এদেশের সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের সে ক্ষমতা নেই ।ফলে তোষনের নাম করে একটি সম্প্রদায়ের মানুষজনকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক করে তোলার চেষ্টা আজ শীতলকুচিতে হয়েছে ।আগামী কাল অন্য কোথাও হবে ।একদিনের প্রতিবাদ ধর্নায় এ বিপদ দুর হবার নয়।লড়াইটা দীর্ঘ ।প্রচলিত ন্যারেটিভ পাল্টাতে না পারলে বিভাজন ও মেরুকরনের রাজনীতি চলতেই থাকবে।

Related Articles

Back to top button
error: