HighlightNewsদেশ

Asam-Lumding Eviction: আসামের দরং-এর পরে উচ্ছেদ শুরু লামডিংয়ে

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : অসম সরকার দরং জেলার গোরুখুঁটির উচ্ছেদ অভিযানের পরে এবার লামডিংয়ের ৩৪০ হেক্টর জমিতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে। অভিযোগ একই তারা সেখানে অবৈধ ভাবে বসতি স্থাপন করেছেন। অসম সরকার অবশ্য আগের মতো ভুল এবারে করেনি। সংঘর্ষ এড়াতে অভিযান চালানোর আগে বিরাট পুলিশ ও আধাসেনা বাহিনী মোতায়েন করেছে। জানাগিয়েছে সেখানে বাসিন্দাদের অনেক আগেই নোটিস দেওয়া হয়। পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তাদের। এরপর আজ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয় ওই ৩৪০ হেক্টর জমিতে। সেখানে ৬৭০টির মতো পরিবার বাস করতো। সেখানকার বেশির ভাগ বাসিন্দাই সরকার-নির্ধারিত স্থানে চলে গিয়েছেন। তাই এ দিনের উচ্ছেদপর্ব শান্তিতে মিটেছে। এসপি বরুণ পুরকায়স্থ জানিয়েছেন, চার কোম্পানি সিআরপিএফ ও বিরাট পুলিশবাহিনী হাতি ও এক্সক্যাভেটরের সাহায্যে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে। নজর রেখতে ব্যবহার করা হয় ড্রোন। কারণ ইতিপূর্বে দরং জেলার গোরুখুঁটির উচ্ছেদে জনতার সঙ্গে সংঘর্ষ জড়িয়ে পরে পুলিশ। গুলি ও মৃত্যুর ঘটনায় সারা দেশ জুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদ। তার থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার অসম সরকার সতর্কতার সঙ্গে আগাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বন দফতর সূত্রে খবর, লামডিং ও লংকা মিলিয়ে থাকা লামডিং সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মোট জমি ২২,৪০২ হেক্টর। তার মধ্যে ১৪১০ হেক্টর জমি জবরদখল হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে নামনি অসম, মধ্য অসমের সংখ্যালঘু ও চাকমা, গারো-সহ বিভিন্ন জনজাতির মানুষকে জঙ্গলের জমি টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে জমি দালালরা। এমনকি তাদের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে ভুয়ো পাট্টাও দেয়া হয়। আর সরল মনে বিশ্বাস করে নিজের জমি মনে করে তাঁরা কয়েক পুরুষ ধরে সেই জঙ্গলের জমিতেই বসতি গড়ে তুলেছিলেন। এই বাসিন্দাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা মরিগাঁও, নগাঁও এলাকার বন্যায় ভিটেমাটি হারিয়ে পরিবার নিয়ে এখানে উঠে এসেছিলেন। তাদের আরও অভিযোগ দালালরা ২৫ হাজার থেকে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিয়ে বনের জমি তাঁদের বেচে দিয়ে ঠকিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা এ-ও জানিয়েছেন, ঠিকাদারের নেতৃত্বে নগাঁও, ধুবুড়ি, বরপেটা থেকে লোক এসে বন ধ্বংস করে আদা চাষ করছে। ঠিকাদার মারফত আদা চাষের শ্রমিক হিসেবে আসা অনেকেই লামডিং বনাঞ্চলে পাকাপাকি বসবাস করছেন।

সরকার সূত্রে খবর, এরপর ধিঙের চরে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে। সেখানেও আগে থেকে নোটিস দিয়ে দেওয়া হয়েছে। অবশ্য সেখানে ইতিমধ্যেই বিক্ষোভ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সিপিআই(এমএল)-এর দাবি সংখ্যালঘুদের হেনস্থা করতেই এই উচ্ছেদ অভিযান। বন্যায় জমি-বাড়ি হারানো মানুষই চরে বাস করছেন। তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ চলবে না।

উত্তর-পূর্ব ছাত্র সংগঠনের দাবি, জবরদখলকারীরা ভূমিহীন। তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন ধর্ম ও জনজাতির মানুষ রয়েছেন। আগে তাঁদের পুনর্বাসন দিয়ে তার পরেই উচ্ছেদ করা উচিত। নাহলে এই শীতের সময়ে তারা কথায় দিন গুজরান করবে। যদি জবরদখলকারীদের মধ্যে সত্যিই কেউ বিদেশি হন- তবে তা প্রমাণ করে দেশ থেকে বহিষ্কারের ব্যবস্থা করা হোক। অসমে উচ্ছেদের বিরুদ্ধে আজ দিল্লির যন্তর মন্তরে অবস্থান বিক্ষোভ করে আমসু। ১২ দফা দাবি নিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীকেও।

Related Articles

Back to top button
error: