HighlightNewsরাজ্য

পণের দাবি না মেটায় ক্যানিং-এ গৃহবধুকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা, অভিযোগ স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : পণের দাবি মেটাতে পারেননি তাই গৃহবধুকে আগুনে পুড়িয়ে ও জলে ডুবিয়ে হত্যা করার চেষ্টা, অভিযোগ উঠলো গৃহবধুর স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার অন্তর্গত গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আমতলা গ্রামে। বুধবার রাতে ওই গৃহবধূকে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে অগ্নিদগ্ধ আধপোড়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে তাকে দ্রুত ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে জানা যাচ্ছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ক্যানিংয়ের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আবারও এই আধুনিকতা ও প্রযুক্তির যুগে নারী কতটা নিরাপদ ও স্বাধীন সেই প্রশ্ন বড় বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।

ইতিমধ্যে গৃহবধুর পরিবারের পক্ষ থেকে ক্যানিং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ। যদিও এখনও ঘটনায় জড়িতদের সন্ধান পায়নি পুলিশ। অভিযুক্ত স্বামী ও শাশুড়ি পলাতক। তাদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। জানা গিয়েছে, আজ থেকে প্রায় বছর পাঁচেক আগে বিয়ে হয় হালিমা শেখ ও শাহজামালের। ক্যানিয়ের দাঁড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েকের রোনিয়ায় বাপেরবাড়ি হালিমার। পেশায় অটোচালর শাহজামাল গোপালপুর পঞ্চায়েতের ধর্মতলার বাসিন্দা। তাদের তিন বছরের এক ছেলে ও এক বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।

আক্রান্ত ওই গৃহবধু হালিমার পরিবারের অভিযোগ, হালিমার স্বামী শাহজামালের কয়েকজন মহিলার সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আর স্বামীর সেই অবৈধ সম্পর্কের কথা জানতে পারে হালিমা। যার ফলে তাঁর উপর অকথ্য অত্যাচার শুরু করেছিলেন স্বামী ও শাশুড়ি। অভিযোগ, এদিন প্রথমে হালিমাকে বেধড়ক মারধর করেন তাঁর স্বামী সাহাজামাল। পরে ধারালো দা দিয়ে তাঁর গলায় ও মাথায় আঘাত করেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, প্রথমে ধারাল অস্ত্রের কোপ। তারপর কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে বাড়ির সামনের পুকুরে ঝাঁপ দেন হালিমা। ওই পকুরেই তাঁকে তাঁর স্বামী ও শাশুড়ি মিলে ডুবিয়ে মারার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ।

Related Articles

Back to top button
error: