টিডিএন বাংলা ডেস্ক : হিজাব ইস্যুতে উত্তাল হয়ে উঠেছে ভারতের কর্ণাটক। হিজাব পরে কয়েকজন ছাত্রীকে স্কুলে ঢুকতে না দেওয়া নিয়ে সেখানে সৃষ্টি হয় বিক্ষুদ্ধ পরিস্থিতির। এই নিয়ে বিতর্কে রাজ্যের সব স্কুল-কলেজ আগামী তিন দিন বন্ধ ঘোষণা করেছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসাভারাজ বোম্মাই।
এবার হিজাব পরিহিত ছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন কংগ্রেস নেতা প্রিয়াংকা গান্ধী ভান্দ্রা। বুধবার ওই ছাত্রীদের সমর্থন জানিয়ে টুইট করেন তিনি। টুইটারে প্রিয়াংকা লিখেছেন, বিকিন হোক বা ঘোমটা, জিনস কিংবা হিজাব, এক জন নারী কী পরবেন, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে তাঁর। সেই অধিকার নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সংবিধান। নারী নিগ্রহ বন্ধ করুন।
Whether it is a bikini, a ghoonghat, a pair of jeans or a hijab, it is a woman’s right to decide what she wants to wear.
This right is GUARANTEED by the Indian constitution. Stop harassing women. #ladkihoonladsaktihoon
— Priyanka Gandhi Vadra (@priyankagandhi) February 9, 2022
গত এক মাসের বেশি সময় ধরে কর্ণাটকের বিভিন্ন স্কুল কলেজেহিজাব পরে ক্লাস করার অনুমতির দাবিতে আন্দোলন করছে মুসলিম ছাত্রীরা।
প্রিয়ঙ্কার ওই টুইটে ‘লাইক’ দিয়ে সমর্থন জানিয়েছেন রাহুল গান্ধীও। সম্প্রতি তিনিও কর্নাটকের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরে ক্লাস করায় বিধিনিষেধ জারির প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তিনি।
অন্যদিকে হিন্দু শিক্ষার্থীরা গেরুয়া ওড়না পরে হিজাববিরোধী আন্দোলন শুরু করেছে।
সম্প্রতি ভারতের কর্ণাটকের একটি কলেজে হিজাব পরার কারণে কয়েকজন ছাত্রীকে কলেজ গেটে আটকে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনা নিয়ে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
এতে কর্ণাটকের কুন্দাপুর উপকূল এলাকার উদুপুর জেলায় অধ্যক্ষের কাছে কলেজছাত্রীদের অনুনয় করতে দেখা যায়। তারা অধ্যক্ষকে হিজাব পরে ক্লাসে অংশ নেওয়ার অনুমতি প্রদান করার আহ্বান জানান।
এই ঘটনার এক মাস আগে উদুপুরের পিইউ গার্লস কলেজে প্রথম হিজাব পরা নিয়ে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়। একজন ছাত্র হিজাব, হেডস্কার্ফ পরে শ্রেণিকক্ষে অংশ নিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
কর্ণাটকের রাজ্য সরকার জানিয়েছে, রাজ্যের শিক্ষানীতি অনুযায়ী সকল শিক্ষার্থীকে (ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য স্কুল কর্তৃক নির্ধারিত) একই পোশাক পরে শ্রেণিকক্ষে আসতে হবে। কারণ তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে এটাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ঠিক করবে ছাত্র-ছাত্রীরা কেমন পোশাক পরবে।