দেশরাজ্য

বালাসোর থেকে উৎক্ষেপণের পরই ভেঙে পড়লো ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র , তদন্তে প্রতিরক্ষা কমিটি

টিডিএন বাংলা ডেস্ক :   পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের সময় ভেঙে পড়ল ভারতের অত্যন্ত শক্তিশালী সুপারসনিক ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্র। গতকাল সোমবার (১২ জুলাই) উড়িষ্যার বালেশ্বরের উপকূলীয় এলাকা থেকে পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষেপণের পরই বিধ্বস্ত হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্রটি।

কারণ অনুসন্ধানের জন্য ব্রহ্মস অ্যারোস্পেস করপোরেশন এবং প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও)-র বিজ্ঞানীদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞদল গঠন করা হয়েছে।

ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ভারতের সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে পরিচিত। সাধারণত ৩০০ কিলোমিটার দূরপাল্লার হয় এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো। সেই ক্ষমতা বাড়িয়ে ৪৫০ কিলোমিটার করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। সোমবার উড়িষ্যার সমুদ্র উপকূলে সেই লক্ষ্যেই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু উৎক্ষেপণের পরপরই ভেঙে পড়ে।
ব্রহ্মসের সবচেয়ে বেশি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটিরই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ চলছিল। ক্ষেপণাস্ত্রটি ৪৫০ কিলোমিটার দূরের কোনও লক্ষ্যবস্তুর উপর আঘাত হানার ক্ষমতাসম্পন্ন।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এর সূত্র জানিয়েছে ‘সোমবার বালেশ্বরের সমুদ্র উপকূল থেকে উৎক্ষপণের পরপরই ভেঙে পড়ে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র। কেন এই দুর্ঘটনা তা এখনও জানা যায়নি। কারণ অনুসন্ধানের জন্য ব্রহ্মস অ্যারোস্পেস কর্পোরেশন এবং ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও)-র বিজ্ঞানীদের নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারাই ব্রহ্মসের ভেঙে পড়ার কারণ শনাক্ত করবেন।’

এর আগেও ব্রহ্মসের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয়েছে। উৎক্ষেপণের সময় ব্রহ্মসের ভেঙে পড়ার ঘটনা আগে তেমন ঘটেনি , জানানো হয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে। ধারণা করা হচ্ছে, ক্ষেপণাস্ত্রের প্রোপালসন ব্যবস্থার কোনও ত্রুটি এই দুর্ঘটনার কারণ। তবে সেটা এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত নয়।

ভারত ও রাশিয়া যৌথভাবে ব্রহ্মস মিসাইল তৈরি করে।ক্ষেপণাস্ত্রটি ঘণ্টায় ৩ হাজার ৭০০ কিলোমিটার বেগে ছুটে গিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ২০০৬ সালে এটি ভারতের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হয়।
এর আগে সুপারসোনিক ক্রুইজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মসের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয়েছিল ৩০০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত। ব্রহ্মস নামটি দেওয়া হয়েছে ভারত ও রাশিয়ার দুটি নদী ব্রহ্মপুত্র ও মস্কোভার নামে।

Related Articles

Back to top button
error: