HighlightNewsদেশ

“কৃষি আইনের সমর্থনকারীদের কাছ থেকে কি ন্যায়ের আশা করা যায়?” সুপ্রিম কোর্টের গঠিত কমিটি প্রসঙ্গে মন্তব্য রাহুল গান্ধীর

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: লাগাতার ৪৮ দিন ধরে কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লির সীমান্তে বিক্ষোভ দেখিয়ে চলেছেন কৃষক সংগঠনের কয়েক হাজার সদস্যরা। এই পরিস্থিতিতে আজ সুপ্রিম কোর্ট তিনটি কৃষি আইন বলবৎ করার বিষয়ে স্থগিতাদেশ জারি করেছে। পাশাপাশি কৃষকদের সমস্যা সমাধানের জন্য চার সদস্যের একটি উচ্চ স্তরীয় কমিটিও গঠন করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে গঠিত এই কমিটির সদস্য হিসেবে থাকছেন ভারতীয় কৃষক ইউনিয়নের ভূপিন্দর সিংহ মান, শেতকারী সংগঠনের অনিল ঘনবট, ডক্টর প্রমোদ জোশি এবং কৃষি অর্থশাস্ত্রী অশোক গুলাটি।

শীর্ষ আদালতের এই সিদ্ধান্তকে অনেক কৃষক সংগঠন স্বাগত জানালেও বেশ কয়েকটি কৃষক সংগঠন এমনও আছে যারা এই সিদ্ধান্তের জন্য নিরাশা প্রকাশ করেছেন।

কৃষক সংগঠনের সদস্যদের এই আপত্তিকে সমর্থন জানিয়ে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী একটি টুইট করে লিখেছেন,”কৃষি-বিরোধী আইনের লিখিতভাবে সমর্থন করা ব্যক্তিদের কাছ থেকে কি ন্যায়ের আশা করা যায়? এই সংঘর্ষ কৃষক-মজুর বিরোধী আইন শেষ হওয়া পর্যন্ত জারি থাকবে। জয় জওয়ান, জয় কিষান!”

এদিকে, কৃষক সংগঠনগুলির পক্ষ থেকেও আন্দোলন জারি রাখার বার্তা দেওয়া হয়েছে। কৃষক নেতারা বলেন, যতক্ষণ না আইন ফেরত নেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন শেষ হবে না। প্রায় চল্লিশটি আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠনের নেতৃত্বকারি সংযুক্ত কৃষক মোর্চাতাদের আগামী পদক্ষেপ কি হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করার জন্য আজ একটি বৈঠকের আয়োজন করে।

ভারতীয় কৃষক ইউনিয়নের জাতীয় মুখপাত্র রাকেশ টিকেত বলেন, মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট দ্বারা গঠিত কমিটির সকল সদস্যই উন্মুক্ত বাজার ব্যবস্থা বা আইনের সমর্থক ছিলেন। অশোক গুলাটির সভাপতিত্বে গঠিত কমিটি এই আইনগুলি আনার সুপারিশ করেছিল। এই সিদ্ধান্তে হতাশ দেশের কৃষকরা। শুধু তাই নয়, শীর্ষ আদালতের দ্বারা নির্ধারিত কমিটির কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করার বার্তা দিয়েছেন কৃষক নেতারা। তবে এ বিষয়ে তাদের চরম সিদ্ধান্ত এখনো পর্যন্ত বিচারাধীন।

মোর্চার বড়িষ্ঠ নেতা অভিমন্যু কোহাড় বলেন,”কৃষি আইনেরওপর স্থগিতাদেশ জারি করার শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই তবে আমরা চাই যে এই আইন পুরোপুরিভাবে প্রত্যাহার করা হোক।”

Related Articles

Back to top button
error: