পাটনা-দিল্লি সহ লালু প্রসাদ যাদবের ১৭টি সম্পত্তিতে সিবিআইয়ের হানা, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব এবং তাঁর পরিবারের ১৭টি সম্পত্তিতে শুক্রবার হানা দিল সিবিআই। রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডে গোলযোগের ঘটনায় এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাটনা, গোপালগঞ্জ ও দিল্লিতে লালু যাদব ও তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং মেয়ে মিসা ভারতীর ১০ টি সম্পত্তিতে অভিযান চালানো হয়েছে। একইসঙ্গে রেলে চাকরি পাওয়া লোকেদের বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। পাটনায় দুটি আলাদা ঘরে রাবড়ি দেবী এবং তাঁর বড় ছেলে তেজ প্রতাপ যাদবকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজন করে সিবিআই আধিকারিকের দুটি টিম গঠন করা হয়েছে। একই সময়ে সিবিআইয়ের এসপি এবং ডিএসপি স্তরের আধিকারিকরা দিল্লিতে মিসা ভারতীর বাসভবনে লালু যাদবকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সিবিআইয়ের আধিকারিকরা লালুর কাছ থেকে ওই নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইলের তথ্য সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।

এদিকে, সিবিআইয়ের তদন্ত চলাকালীন লালু প্রসাদ যাদব সিবিআই অফিসারদের কাছে ডাক্তার ডাকার দাবি জানান। তিনি বলেন, আমার শরীর ভালো নেই আগে ডাক্তার ডাকুন। পাশাপাশি দুজন আইনজীবীকেও ডাকা হয়েছে। অন্যদিকে, রাবড়ি দেবীকে জেরা করতে পাটনায় এসেছেন একজন মহিলা আইপিএস অফিসার।পাটনায় সিবিআইয়ের হানার প্রতিবাদে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। রাষ্ট্রীয় জনতা দলের কর্মীদের অভিযোগ সিবিআই-এর এই অভিযান রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ইতিমধ্যেই ধরনায় বসেছেন একাধিক আরজেডি কর্মী। জানা গিয়েছে, এদিন অভিযানের শুরুতে সিবিআই অফিসাররা লালুপ্রসাদ যাদবের বড় ছেলে তেজ প্রতাপকে একটি গাছের নিচে বসিয়ে দেন। আর এতেই ক্ষেপে যান আরজেডির কর্মীরা।

প্রসঙ্গত, অভিযোগ অনুযায়ী ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত লালুপ্রসাদ যাদব যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন সেসময় চাকরি দেওয়ার বদলে জমি ও প্লট নেওয়া হয়েছিল। এই মামলায় তদন্তের পর লালু ও তাঁর মেয়ের বিরুদ্ধে নতুন মামলা দায়ের করেছে সিবিআই। বিহারের বিজেপি সাংসদ এবং প্রাক্তন ডেপুটি সিএম সুশীল মোদি মোদিকে সিবিআইয়ের এই পদক্ষেপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, লালু প্রসাদ যাদব রেলমন্ত্রী থাকাকালীন দুর্নীতির একটি নতুন পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছিল। রেলের গ্রুপ ডি-র লোকেদের চাকরি দেওয়া হয় এবং বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে অর্থের বদলে জমি নেওয়া হয়।