নেতাজির জন্মদিনে ‘জাতীয় ছুটি’ ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন ২৩ জানুয়ারির দিনটিকে ‘জাতীয় ছুটি’রদিন হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজির ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী আগেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে যে চিঠি মুখ্যমন্ত্রী লিখে পাঠিয়েছেন সেই চিঠির বক্তব্য অনুযায়ী, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন গোটা দেশে মর্যাদার সঙ্গে পালিত হয়, তাই এই দিনটিকে জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যাতে ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগী হন সে বিষয়ে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। পাশাপশি ২০২২ সালে “জাতীয় বীর” তথা “জাতীয় নেতা” নেতাজির ১২৫ তম জন্মবার্ষিকীর কথা মনে করিয়ে মুখ্যমন্ত্রি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনে জাতীয় ছুটির ঘোষণা করার দাবি এখনো পূরণ হয়নি।

প্রধানমন্ত্রীকে লেখা ওই চিঠিতে নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে কেন্দ্র সরকারের উদ্যোগী হওয়ার আবেদন জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, নেতাজি সম্পর্কে যা কিছু অজানা, তা প্রকাশ্যে আনতে নেতাজি সংক্রান্ত  বিভিন্ন গোপন ফাইল আগেই রাজ্য সরকার প্রকাশ্যে এনেছে। তিনি আরো লিখেছেন, এ বিষয়ে কেন্দ্র সরকারের উদ্যোগী হওয়া উচিত এবং নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য উদঘাটনে আসল তথ্য খুঁজে বের করা উচিত। পরিশেষে নরেন্দ্র মোদিকে লেখা দুপাতার ওই চিঠির শেষ স্তবকে, নেতাজি সম্পর্কে সমস্ত দল নির্বিশেষে বাঙালির আবেগ প্রবণতার কথা উল্লেখ করে নেতাজির জন্ম দিনের আগেই যাতে এই দিনটিকে জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয় সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগী হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন এর দিনটিকে জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করার এই আবেদন করা হয়েছিল। তবে এর আগে বাংলার কোন মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকেই এভাবে প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি চিঠি লিখে বিষয়ক ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপের আবেদন করা একটি বেনজির ঘটনা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর এহেন আবেদনের জবাবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের পক্ষ থেকে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এখন সেটাই দেখার বিষয়।