আলিয়ায় ভিসি হেনস্থায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে ডেপুটেশন এসআইও’র

নিজস্ব সংবাদ, টিডিএন বাংলা : সম্প্রতি আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা গিয়াস উদ্দিন সহ বেশ কিছু ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কক্ষে ঢুকে তাকে হেনস্থা করে এবং তাকে মারধোর করার এমনকি মেরে ফেলারও হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন উপাচার্য। সেই হেনস্থাকান্ডের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই সমালোচনা শুরু হয় রাজ্যজুড়ে। এবার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হেনস্থার প্রতিবাদে সরব হল ছাত্র সংগঠন স্টুডেন্ট ইসলামিক অর্গানাইজেশন অফ ইন্ডিয়ার পশ্চিমবঙ্গ শাখা। এই ঘটনায় জড়িত সমস্ত অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়ে একটি ডেপুটেশন জমা দেয় এই সংগঠনটির একটি প্রতিনিধি দল।

ডেপুটেশন দেয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ওই ছাত্র সংগঠনের এক ছাত্রনেতা তথা আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মিরাজুল ইসলাম বলেন, “আমরাও আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন চলমান সমস্যাগুলির সমাধানের দাবি জানাই। তবে এদিন যেভাবে পরিকল্পিত ভাবে উপাচার্যকে হেনস্থা করা হয়েছে এই ঘটনাকে কখনই প্রতিবাদ বলা যায়না। বরং এটা একটি গুন্ডাগিরি। আমরা এই ধরনের গুন্ডাগিরির সম্পূর্ণ বিরোধী। প্রতিবাদ জানানোর অধিকার সকলের আছে। তবে সেটা অবশ্যই আইন মেনেই হতে হবে। গুন্ডাগিরির মাধ্যমে নয়।”

একইসঙ্গে তিনি এই ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বলেন, “আমরা দাবি জানাচ্ছি এই ঘটনায় জড়িত গিয়াস উদ্দিন সহ সমস্ত অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করে অবিলম্বে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।” এই ঘটনায় যারা পিছন থেকে উস্কানি দিয়েছে তারও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন এবং তাদেরও শাস্তি হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

পাশাপাশি ওই ডেপুটেশনে আরও দাবি করা হয়, অবিলম্বে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডিতে যে বেনিয়ম হয়েছে এবং প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে তারও বিহিত করতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন আসলে ওই ওরা আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো নিয়ে কথা বলতে ভিসির কাছে যাননি বরং এটা তাদের একটি দূরভিসন্ধি ছিল। এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে সেখানে যারা গিয়েছিল তারা বিশেষ কোন শ্রেণীর অঙ্গুলিহেলনে ভিসিকে হেনস্থা করতে সেখানে গিয়েছিল।