HighlightNewsরাজ্য

বন্যা বিধ্বস্ত বীরভূমের সুন্দরপুর গ্রামে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের বস্ত্র বিতরণ

নিজস্ব সংবাদদাতা,টিডিএন বাংলাঃ প্রকৃতির ধ্বংস লীলায় একেবারে নিশ্চিহ্ন হোয়ে গেল বীরভূম জেলার সুন্দরপুর গ্রাম। বলা যায় গোটা গ্রাম শ্মশানে পরিণত হয়েছে। ঠিক এমনই চিত্র দেখা গেল বীরভূম জেলার নানুর ব্লকের অন্তর্গত থুপসরা পঞ্চায়েতের সুন্দরপুর গ্রামে। দু’একটি বাড়ি ছাড়া গ্রামের সমস্ত বাড়ি বন্যায় ভেঙে পড়েছে। যে কয়েকটি বাড়ি দাঁড়িয়ে আছে সেগুলোতেও মানুষ বসবাস করতে পারছেন না। কারন সেই বাড়িগুলোরও ভীত নরম হোয়ে গিয়েছে। যে কোনো সময় ভেঙে পড়ে যেতে পারে। বাঁধের উপর তাঁবু খাঁটিয়ে এখন গ্রামের মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। জেশিবি মেশিন দিয়ে চলছে এখন ধ্বংসস্তুপ সরানোর কাজ। এই গৃহহীন মানুষদের কথা মাথায় রেখে এবং তাঁদের মুখে হাসি ফোটাতে দুর্গা পুজো উপলক্ষে আজ বীরভূম জেলা জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের জেলা সভাপতি মৌলানা আনিসুর রহমান এলাকার মহিলা ও পুরুষদের নতুন বস্ত্র প্রদান করেন। এদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি মৌলানা আনিসুর রহমান, সহসভাপতি মোল্লা আবদুর রহমান, মৌলানা আব্দুল আজিম, হাফিজ ওমর ফারুক, হাফিজ রহমতুল্লাহ এবং নানুর ও বাসাপাড়া ব্লক জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের ব্লক কর্মীবৃন্দ। গ্রামেরই এক বাসিন্দা আক্ষেপ করে বলেন, এই বন‍্যাতে আমাদের সমস্ত কিছু ভেসে গিয়েছে। বই খাতা, ডকুমেন্টস, সোনার গয়না কোনো কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। বস্ত্র বিতরণ করতে গিয়ে জমিয়তে উলামায়ের জেলা সভাপতি আনিসুর রহমান বলেন, “আমরা হিন্দু মুসলিম ভেদাভেদে বিশ্বাস করি না। একজন হিন্দু ভাইয়ের রক্ত যেমন লাল, একইভাবে একজন মুসলিম ভাইয়ের রক্তোও লাল। হিন্দু-মুসলিমের কোন ভেদাভেদ নেই। ভারতে আমরা জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বসবাস করি। এটিই আমাদের ভারতের ঐতিহ্য এটিই বাংলার ঐতিহ্য।”

Related Articles

Back to top button
error: