পাঞ্জাব পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তরে বিস্ফোরণ, জরুরি বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: মোহালিতে পাঞ্জাব পুলিশের গোয়েন্দা শাখার দপ্তরে বিস্ফোরণ। জঙ্গী হামলার আশঙ্কায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণস্থল থেকে রকেটের মত কিছু জিনিসের ভগ্নাবশেষ পাওয়া গিয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নিজের বাসভবনে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই কয়েকজন সন্দেহভাজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ প্রধান ভিকে ভাওরা। এদিন সকালে পাঞ্জাবের ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে তাঁর বাসভবনে হওয়া উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মোহালি বিস্ফোরণের পর নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর অতিরিক্ত মুখ্য সচিব এ. বেনু প্রসাদ, এডিজিপি আভ্যন্তরীণ (নিরাপত্তা) আরএন ধোকে এবং এডিজিপি (গোয়েন্দা) এসএস শ্রীবাস্তব।

বৈঠকের পর একটি সাংবাদিক সম্মেলনে ডিজিপি জানান, হামলায় ব্যবহৃত বিস্ফোরক টিএনটি হতে পারে। তিনি আরো বলেন, গতকালের বিস্ফোরণের বিষয়ে পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোয়েন্দা শাখার সদর দপ্তরে একটি বৈঠকও হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভগবন্ত মান এই ঘটনার অবিলম্বে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। কাউকে পাঞ্জাবের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। আরো বলা হয়েছে,”কিছু শত্রু শক্তি ক্রমাগত রাজ্যজুড়ে সমস্যা তৈরি করার চেষ্টা করছে (তারা) তাদের ঘৃণ্য পরিকল্পনায় কখনোই সফল হবে না।” মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, মোহালি হামলার পেছনে যারা রয়েছে তাদের শীঘ্রই বিচারের আওতায় আনা হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে মোহালিতে পাঞ্জাব পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের বিল্ডিংয়ে একটি রকেট প্রপেলড গ্রেনেড আছড়ে পড়ে। বিস্ফোরণের জেরে দপ্তরের জানলার কাঁচ ভেঙে যায়। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। হামলাকারীদের সন্ধানে ইতিমধ্যেই তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনার নেপথ্যে কোন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের হাত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, বিস্ফোরণের আগেই পাঞ্জাব পুলিশের কাছে দুটি হুমকি চিঠি আসে। পাক মদদপুষ্ট জঙ্গী সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদের এক কমান্ডারের নাম সই করা ওই চিঠিতে রেলস্টেশন থানা সহ বিভিন্ন এলাকায় হামলার হুমকি দেওয়া হয়।