Highlightদেশ

সোশ্যাল মিডিয়া ও ওয়েব পোর্টালে ভুয়ো খবরের ছড়াছড়ি! ক্ষুব্ধ সুপ্রিমকোর্ট

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : ওয়েব পোর্টালগুলি শুধু ক্ষমতাসীনদের কথা মানে। বিচারপতি কিংবা যে কোনও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে, যা ইচ্ছে তাই লিখে দেয়। সোশ্যাল মিডিয়া ও ওয়েব পোর্টালে ভুয়ো খবরের রমরমা। যা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করল সুপ্রিমকোর্ট। সংবাদমাধ্যমের একাংশের খবর পরিবেশনে সাম্প্রদায়িকতার রঙ দেখতে পাচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ঘটনায় রীতিমতো তারা উদ্বিগ্ন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, এই প্রবণতা বন্ধ না হলে বিশ্বের দরবারে ভারতের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হবে।

গত বছর করোনা মহামারীর সময়ে তবলিগ জামাতের সমাবেশ হয়। তা নিয়ে সংবাদমাধ্যম খবর প্রকাশ করে। যা নিয়ে মামলা হয় দেশের শীর্ষ আদালতে। বেশিরভাগ সংবাদপত্র করোনা স্প্রেডার হিসাবে ওই সমাবেশকেই কাঠগড়ায় তোলে। করোনা সংক্রমণ ছড়ানোয় তাবলিঘি জামাতের হাত রয়েছে। এই সংক্রান্ত একাধিক খবর বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। এদিন মামলার শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলে, একশ্রেণির সংবাদমাধ্যমের খবরে সাম্প্রদায়িক মনোভাবের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরফলে আন্তর্জাতিক মহলে দেশের বদনাম হতে পারে।

বেঞ্চের আরও পর্যবেক্ষণ, ‘ওয়েব পোর্টালের খবরে কারও হাত থাকে না। তাই সেই খবরে সাম্প্রদায়িক রঙ লাগানোর উদ্দেশ্য থাকে। এটাই সমস্যা। এই ধরনের প্রচারে দেশের নাম খারাপ হয়।’ ওই সময় কেন্দ্রের বক্তব্য ছিল, ওই জমায়েতের কারণে দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও প্রশ্ন ওঠে, কী করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নজর এড়িয়ে এত বড়ো জমায়েতের আয়োজন করল সংগঠন। তাদের দায়ী করে সর্বোচ্চ আদালতে একটি পিটিশন জমা পড়ে। বৃহস্পতিবার সেই পিটিশনের শুনানি চলছিল।

পাশাপাশি এদিন ইউটিউব, ফেসবুক ও ট্যুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়াকেও দুষেছে সু্প্রিমকোর্ট।প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, ওয়েব সাইট ও টিভি চ্যানেলগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার কী ব্যবস্থা রয়েছে?

Related Articles

Back to top button
error: