HighlightNewsরাজ্য

হাঁসখালির ধর্ষণ ও খুনের তদন্তেও সিবিআই, রাজ্য পুলিশের উপরে কি আস্থা হারাচ্ছে হাইকোর্ট চলছে জল্পনা

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : এবার হাঁসখালির নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তের ভারও সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। গত এক মাস থেকে দের মাসের মধ্যে ধারাবাহিক ভাবে একের পর এক ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর প্রতিটি ঘটনাতেই কর্তব্যে গাফিলতি, ইচ্ছাকৃত সময়ক্ষেপণ, পক্ষপাতিত্ব এমনকি সরাসরি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় পুলিশের বিরুদ্ধে। আদালতের একের পর এক সিবিআই তদন্তের নির্দেশে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে পুলিশের উপর কি একেবারে আস্থা নেই আদালতের?

জানা গিয়েছে, এদিন হাঁসখালির নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের মামলার রায় দিতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে আক্রান্তের পরিবার, স্থানীয় মানুষ ও রাজ্যবাসীকে আস্থা দিতেই পুলিশের পরিবর্তে সিবিআইকে দায়িত্ব দেওয়া হল।’ আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, তদন্তে কিছু ফাঁক রয়ে গিয়েছে। ফলত গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখার জন্যই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের এই রায়ের ফলেই জল্পনা শুরু হয়েছে, রাজ্য পুলিশের উপরে কি আস্থা হারাচ্ছে হাইকোর্ট। পুলিশের উপর যদি আদালতই আস্থা না রাখতে পারে তাহলে সাধারণ মানুষ কীভাবে আস্থা রাখবে সেই প্রশ্নও উঠছে। সে ক্ষেত্রে রাজ্যে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

বিচারপতিরা তাঁদের রায় দেওয়ার সময় সিবিআই তদন্তের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বলেন, “হাঁসখালিকাণ্ডে নির্যাতিতার মৃত্যুর পর তড়িঘড়ি দেহ দাহ করে দেওয়া হয়েছে। ফলত তদন্তের ক্ষেত্রে অসুবিধা দেখা দিয়েছে। খুঁটিনাটি তদন্ত করার প্রয়োজন রয়েছে বলেই আমরা মনে করছি। এক্ষেত্রে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিও ব্যবহার করতে হতে পারে।” ডিভিশন বেঞ্চের তরফে আরও বলা হয়, “কেস ডায়েরি এবং তদন্তের রিপোর্ট দেখে মনে হয়েছে তদন্তে প্রচুর গাফিলতি রয়েছে। মৃতের পরিবারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। অভিযুক্তের পরিবারে রাজ্যের শাসক দলের নেতা এবং পঞ্চায়েতের সদস্যও রয়েছে। তাই এক্ষেত্রে পুলিশের উপর ঠিকমতো তদন্ত না করার যে অভিযোগ উঠছে তাকে পুরোপুরি অস্বীকার করা যাচ্ছে

Related Articles

Back to top button
error: