HighlightNewsদেশ

ইসলাম প্রচারের অভিযোগ তুলে আইএএস অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্ত উত্তরপ্রদেশে

টিডিএন বাংলা ডেস্কঃ উত্তরপ্রদেশে যোগীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সেখানে মুসলিমদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠছে। এবার এক মুসলিম আইএএস অফিসার এর বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম প্রচারের অভিযোগে তদন্ত শুরু করল উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। ঘটনাটি কানপুরের,উত্তরপ্রদেশে রাজ্য সড়ক পরিবহন নিগমের চেয়ারম্যান আইএএস অফিসার মোহাম্মদ ইফতিকার উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি ইসলামের হয়ে প্রচার করছেন। তার দু’টি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের একটি সম্মেলনে উপস্থিত আছেন ইফতিকার উদ্দিন। সেখানে তিনি সকলকে ইসলামের পথে চলতে বলছেন। অপর এক ভিডিওতে তিনি এক মুসলিম আলেমের পাশে বসে আছেন। এ বিষয়ে উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কে পি মৌর্য মন্তব্য করেন, “এটি একটি মারাত্মক বিষয়, এ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হবে।” একইসঙ্গে তিনি যোগ করেন, “সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছে।” ভিডিয়াে দুটি ভাইরাল করেছেন সারা ভারত মঠমন্দির সমন্বয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ভূপেশ অবস্থি। তিনি বলেন, “ইতিমধ্যেই পুলিশের কাছে ওই মুসলিম অফিসারের বিরুদ্ধে নালিশ করা হয়েছে।” তাঁর দাবি অভিযােগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই পুলিশ এক তদন্ত দল গঠন করেছে। কানপুরের পুলিশ কমিশনার অসীম কুমার অরুণ বলেছেন , “তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সােমেন্দ্রনাথ মিনাকে।” হিন্দুত্ববাদীদের দাবি এবং এই দুটি ভিডিও দেখিয়ে তাঁকে অভিযুক্ত করার প্রয়াসে বিস্মিত আইএএস অফিসার ইফতিকার উদ্দিন। তিনি বুঝতে পারছেন না তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ও তার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত হওয়ার কারণ কি। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়াই কি তার অপরাধ?” একইসঙ্গে তিনি যোগ করেন, “এইসব করাই উদ্দেশ্য হলে লেখাপড়া করে আমি আইএএস পাশ করতাম না।” উল্লেখ্য যে, ২০২২ সালেই উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ধর্মীয় মেরুকরণ উদ্দেশ্যেই এই ধরনের একের পর এক উস্কানিমূলক সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, যদি প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য অফিসারেরা অযোধ্যা মন্দিররের ভিতপুজোয় অংশ নিতে পারেন, তাহলে কোনো মুসলিম অফিসার ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবে না কেন? সংবিধানে প্রত‍্যেকের ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে, তাই এই অভিযোগ হাস্যকর। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে জনগণের সামনে তুলে ধরার মতো কোনো জনকল্যাণমূলক কাজ নেই তাই ধর্মীয় মেরুকরণের মাধ্যমে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চান তাঁরা।

Related Articles

Back to top button
error: