![](https://bangla.tdnworld.com/wp-content/uploads/2020/11/Siddique-Kappan.jpg)
টিডিএন বাংলা ডেস্ক: হাথরাস গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনার খবর করতে গিয়ে ধৃত কেরলের সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানের স্ত্রী রিহান্থ শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি এম ভি রমনের কাছে একটি আবেদন জমা দিয়েছেন। ওই আবেদনপত্রে তিনি তাঁর স্বামীকে মথুরা জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ হাসপাতলে বর্বোরোচিত অত্যাচার করা হচ্ছে সাংবাদিকদের ওপর।
প্রসঙ্গত,শৌচাগারে পড়ে গিয়ে আগেই গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন সিদ্দিক কাপ্পান। এরপর করোনায় সংক্রমিত হওয়ার পর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযোগ সেখানেই মতো আচরণ করা হচ্ছে তাঁর সাথে। হাসপাতালের শয্যা সঙ্গী শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হচ্ছে তাঁকে দেওয়া হচ্ছে না প্রয়োজন মতন খাদ্য ও পানীয়।এমনকি শৌচালয় পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না বলেই অভিযোগ জানিয়েছেন সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানের স্ত্রী রিহান্থ কাপ্পান।
গত বছর অক্টোবর মাসে হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ডের খবর করতে গিয়ে কেরলের ‘আঝিমুখম’ পোর্টালে কর্মরত সিদ্দিক এবং তাঁর ৩ সহকর্মীকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধী আইন তথা ইউএপিএ আইনের ধারায় গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলাও করা হয়। গত বছরের অক্টোবর মাস থেকেই মথুরা জেলে বন্দী ছিলেন তাঁরা। সম্প্রতি জেলের শৌচাগারে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন কাপ্পান। এরপরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন তিনি। ওই অবস্থায় তাঁকে মথুরার কৃষ্ণমোহন মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। কাপ্পানের স্ত্রীর অভিযোগ ওই হাসপাতালেই তার সাথে অমানবিক ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই জামিনের আবেদন মঞ্জুর না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে হাসপাতাল থেকে জেলে পাঠানোর আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রিহান্থ।
সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানের স্ত্রীর পক্ষ থেকে নিযুক্ত আইনজীবী উইলস ম্যাথিউ শীর্ষ আদালতে যে আবেদনপত্রটি জমা দিয়েছেন সেখানে বলা হয়েছে,”বর্তমানে পশুর মতো আচরণ করা হচ্ছে সিদ্দিক কাপ্পানের সঙ্গে। হাসপাতালের শয্যার সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে তাঁকে। ঠিকমতো খেতেও দেওয়া হয় না। গত ৪ দিনে এক বারও শৌচাগার ব্যবাহর করতে দেওয়া হয়নি তাঁকে। ওঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এখনই ব্যবস্থা না নিলে, অকালে ওঁর মৃত্যু হতে বাধ্য।”