“নৃশংস পশুকে মুক্ত করার জন্য বিয়ে কোন লাইসেন্স নয়”: বৈবাহিক ধর্ষণের বিষয়ে মন্তব্য হাইকোর্টের

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: “নৃশংস পশুকে মুক্ত করার জন্য বিয়ে কোন লাইসেন্স নয়”— বৈবাহিক ধর্ষণ প্রসঙ্গে কর্ণাটক হাইকোর্টে দিন এমনই রায় দিয়েছে। বৈবাহিক ধর্ষণ প্রসঙ্গে এদিন একটি মামলার শুনানি চলাকালে হাইকোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছে,”বিবাহের প্রতিষ্ঠান কোনভাবেই প্রদান করেনা প্রদান করতে পারে না এবং আমার বিবেচনায় কোনো বিশেষ পুরুষকে কোনো সুবিধা বা একটি নৃশংস জানোয়ার ছাড়া লাইসেন্স দেওয়া উচিত নয়। যদি এটা একজন পুরুষের জন্য শাস্তিযোগ্য হয় তবে এটি একজন পুরুষ যিনি স্বামী আমি তাঁর জন্যও শাস্তিযোগ্য হওয়া উচিত।”
হাইকোর্টের নির্দেশে আরো বলা হয়েছে,”একজন স্ত্রীর উপর যৌন নিপীড়নের একটি নৃশংস কাজ তার সম্মতির বিরুদ্ধে যদি স্বামীর দ্বারা সংঘটিত হয় তাহলে তাকে ধর্ষণ অভিহিত করা যায় না। স্ত্রীর উপর স্বামীর এই ধরনের যৌন নিপীড়ন স্ত্রীর মানসিক অস্তিত্বের ওপর মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনে। এর প্রভাব তার মনস্তাত্ত্বিক এবং শারীরবৃত্তীয় উভয় ক্ষেত্রেই পড়ে। স্বামীদের এধরনের কাজ স্ত্রীদের আত্মাকে ক্ষতবিক্ষত করে। তাই আইন প্রণেতাদের এখন নিরবতার কণ্ঠস্বর শোনা উচিত।”
কর্ণাটক হাইকোর্টের ওই রায়ে আরো বলা হয়েছে,”স্বামীরা তাদের স্ত্রীর শরীর মন এবং আত্মার শাসক এই প্রাচীন ধ্যান-ধারণা মুছে ফেলা উচিত।”একইসঙ্গে ওই আদেশে বলা হয়েছে এ ধরনের প্রত্নতাত্ত্বিক, পশ্চাদপসরণমূলক এবং পূর্বকল্পিত ধারণার ভিত্তিতে এই জাতীয় মামলা দেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে।