নিজস্ব সংবাদদাতা, টিডিএন বাংলা : সম্প্রতি হরিদ্বারে অনুষ্ঠিত হল উগ্ৰ হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের তথাকথিত ধর্মসংসদ। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন দেশের বহু ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। যাদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও দেশে সাম্প্রদায়িক প্ররোচনা সৃষ্টির অভিযোগ আছে। একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তারা প্রকাশ্য সমাবেশে মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ধর্মযুদ্ধ শুরু করার আহ্বান জানাচ্ছেন। সেখান থেকে মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে গণহত্যার ডাক দেওয়া হয়েছে। এর ফলে দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই। এই নিন্দনীয় কাজের কড়া সমালোচনা করেছে সারা বাংলা সংখ্যালঘু কাউন্সিল।
সংখ্যালঘু কাউন্সিলের রাজ্য সম্পাদক এ প্রসঙ্গে বলেন – “বর্তমানে দেশে গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত সরকার আছে। দেশে স্থিতিশীলতা বজায় আছে। দেশের ঐক্য ও সংহতি রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার দায়িত্বও তাদের। কোনো ব্যক্তি দেশে প্রতিষ্ঠিত সাংবিধানিক আইনের উর্ধ্বে নয়। তা সত্ত্বেও, বেশ কিছু কাল ধরে কিছু মানুষ প্রশাসনের নাকের ডগায় সাম্প্রদায়িক ও সন্ত্রাসী কাজে প্ররোচনা দিয়ে চলেছে। অথচ প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। এটা লজ্জাজনক।”
সংখ্যালঘু কাউন্সিলের সভাপতি ড. নুরুল ইসলাম বলেন, “আমরা সংশ্লিষ্ট সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সংঘাত ও সংঘর্ষে প্ররোচনা দিতে হরিদ্বারে অনুষ্ঠিত সভায় যারা আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আমরা আশা করি, চিহ্নিত সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়ার পূর্বে সংবেদনশীল সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।”
