HighlightNewsদেশ

প্রত্যাশা মতোই অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটাভুটিতে জয়ী মোদী সরকার, ‘দুর্ব্যবহার’-এর অভিযোগে লোকসভায় সাসপেন্ড অধীর

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: লোকসভা থেকে আপাতত সাসপেন্ড করা হল কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে। লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটির সময় অধীরের বিরুদ্ধে ‘দুর্ব্যবহার’-এর অভিযোগ ওঠে। তাঁর বিরুদ্ধে সাসপেনসনের প্রস্তাব আনা হয়। প্রায় বিরোধীশূন্য লোকসভায় পাশ হয়ে যায় সেই প্রস্তাব। জানা গেছে, প্রিভিলেজ কমিটির কাছে জানানো হয়েছে বিষয়টি। কমিটির রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সাসপেন্ডই থাকবেন অধীর চৌধুরী। এদিন অধীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। তাঁর দাবি, প্রমাণ ছাড়াই বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ করে প্রায়শই সভার কাজে বিঘ্ন ঘটান অধীর। তাঁর কথায় দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হলেও সে ব্যাপারে কখনও ক্ষমা চান না তিনি, অভিযোগ প্রহ্লাদের। তিনিই অধীর চৌধুরীর আচরণকে ‘অসংসদীয়’ বলে দাবি করে তাঁকে সাসপেন্ড করার আর্জি জানান। তারপরেই লোকসভার কংগ্রেস নেতাকে সাসপেনশনের প্রস্তাব পাস হয়ে যায়।

এদিন সংসদের অধিবেশনে অনাস্থা প্রস্তাবের বিতর্ক থেকে আগেই বেরিয়ে গিয়েছিল কংগ্রেস। ভোটাভুটিতে খারিজ হয়ে যায় বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব। লোকসভা প্রায় বিরোধীশূন্য থাকার কারণে প্রস্তাবের বিপক্ষেই এদিন বেশি ভোট পড়েছিল। সেখানেই বহরমপুরের সাংসদ তথা কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাসপেনশনের প্রস্তাব পাস করানো হয়। এদিন লোকসভায় বক্তব্য রাখার সুযোগ পাননি অধীর। এদিন কংগ্রেসের তরফে তিনজন বক্তৃতা দেন, গৌরব গগৈ, মণীশ তিওয়ারি এবং রাহুল গান্ধী। যদিও লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা অধীর বাবুকে কথা বলার জন্য কিছুটা সময় দিয়েছিলেন।

সেই বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে চাঁচাছোলা সমালোচনা করেন অধীর। প্রধানমন্ত্রী তখন ট্রেজারি বেঞ্চে বসে। অধীর বলেন, “কে বলে নীরব মোদী বিদেশে পালিয়ে গিয়েছেন? নরেন্দ্র মোদীই মণিপুর প্রশ্নে নীরব মোদী হয়ে এই দেশে বিরাজমান।” শুধু তা নয়, অধীর বলেন, প্রধানমন্ত্রী চাঁদ থেকে শুরু করে কুনোর চিতা নিয়ে কথা বলেন, অথচ মণিপুর নিয়ে কথা বলার সময় নেই ওঁর।

এর পরই বক্তৃতায় অধীরের তীব্র সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গুড়কে কীভাবে গোবর বানাতে হয়, উনি সবচেয়ে ভাল জানেন।” সেই সঙ্গে বলেন, “কিন্তু আমার সবচেয়ে খারাপ লাগছে, অধীর চৌধুরীকে কোণঠাসা করা হচ্ছে। কে জানে কলকাতা থেকে হয়তো ফোন এসেছিল!” মোদীর কথায়, “এর আগেও একবার ফ্লোর লিডারের পদ থেকে অধীরবাবুকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ওঁর প্রতি আমাদের সহানুভূতি রয়েছে।” অধীরের বক্তব্য রাখতে পারার সুযোগ না পাওয়া নিয়ে টিপ্পনি কেটে তিনি আরও বলেন, “অধীরবাবুর কী হাল হয়েছে, ওঁর দল ওঁকেই বলতে দেয়নি! কংগ্রেসের জন্য যে সময় বরাদ্দ হয়েছিল, তার মধ্যে ওঁর ভাগ্যে কিছুই জোটেনি।” এর পর স্পিকার ওম বিড়লার দিকে তাকিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনি মহানুভব তাই কিছু অতিরিক্ত সময় বরাদ্দ করেছেন অধীরবাবুকে।” দ্য ওয়াল

Related Articles

Back to top button
error: