HighlightNewsদেশ

জাতীয় নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে ক্ষমতা নিজের হাতেই রাখছেন মোদী, প্যানেল থেকে বাদ প্রধান বিচারপতি!

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: ভারতের নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আগের মতোই শেষ কথা বলবে কেন্দ্রীয় সরকার। নির্দিষ্ট করে বললে প্রধানমন্ত্রী। এই মর্মে বৃহস্পতিবার একটি বিল পেশ করতে চলেছে মোদী সরকার। ‘দ্য চিফ ইলেকশন কমিশনার অ্যান্ড আদার ইলেকশন কমিশনার্স (অ্যাপয়েন্টমেন্ট, কন্ডিশন অফ সার্ভিসেস অ্যান্ড টার্ম অফ অফিস) বিল, ২০২৩’ নামে এই বিলে বলা হয়েছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সহ নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করবেন প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং সরকারের মনোনীত কোনও মন্ত্রীকে নিয়ে গঠিত প্যানেল। প্রধানমন্ত্রী হবেন প্যানেলের চেয়ারম্যান।

কেন্দ্রীয় সরকার কেন এই ব্যাপারে নতুন আইন করার সিদ্ধান্ত নিল? আসলে এ বছর মার্চে সুপ্রিম কোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে বলে নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের একচ্ছত্র অধিকার থাকতে পারে না। কারণ নির্বাচন কমিশনাররা হলেন ভোটের রেফারি। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় তাঁর রায়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত প্যানেল নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করবে।

আদালতের রায় অনুযায়ী প্যানেল তৈরি হলে সরকারের মতামত চাপিয়ে দেওয়ার কোনও সুযোগ ছিল না। তাই আইন করে প্রধান বিচারপতিকে প্যানেল থেকে বাদ দিয়ে তাঁর জায়গায় একজন মন্ত্রীকে সদস্য করা হচ্ছে। ফলে আগের মতোই সরকার তথা প্রধানমন্ত্রীই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে শেষ কথা বলবেন।

চালু ব্যবস্থার সঙ্গে ফারাক শুধু লোকসভার বিরোধী দলনেতার মতামত দেওয়ার সুযোগ থাকবে। চলতি লোকসভায় আবার বিরোধী দলনেতা নেই। কংগ্রেস উপযুক্ত সংখ্যক সাংসদের অভাবে বিরোধী দলনেতার পদ পায়নি। অধীর চৌধুরী লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা দায়িত্ব পালন করছেন।

মোদী সরকারের সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে বিচার বিভাগকে উপেক্ষা করার নয়া নজির হল। ক’দিন আগেই দিল্লি অর্ডিন্যান্স সংসদে পাশ করিয়েছে মোদী সরকার। সুপ্রিম কোর্ট দিল্লির রাজ্য সরকারের হাতেই অফিসারদের ট্রান্সফার পোস্টিংয়ের অধিকার রাখার পক্ষে রায় দিয়েছিল। সেই রায় বাতিল করতে দুদিনের মাথায় মাঝরাতে অর্ডিন্যান্স জারি করে মোদী সরকার। সূত্র – দ্য ওয়াল বাংলা

Related Articles

Back to top button
error: