![](https://bangla.tdnworld.com/wp-content/uploads/2021/02/IMG_20210202_123415.jpg)
টিডিএন বাংলা ডেস্ক: কেন্দ্রের কৃষি আইনের প্রতিবাদে আন্দোলনরত কৃষকদের দিল্লিতে প্রবেশে বাধা দেবার জন্য এবার রাস্তায় তৈরি করা হলেও উঁচু কংক্রিট। পোঁতা হয়েছে উল্টো পেরেক। সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়েছে বোল্ডার ব্যারিকেড। এক কথায় যুদ্ধের আগের প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে দিল্লির সীমান্তে। কৃষকদের আটকাতে কার্যত দুর্গ বানিয়ে কেল্লার মধ্যে রয়েছে দিল্লি। কাঁটাতারের সীমান্ত যেন দেশের সীমান্ত। সিংহ বর্ডারে আগেই জল বিদ্যুৎ ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।এবার কৃষকরা যাতে কোনোভাবেই দিল্লিতে প্রবেশ করতে না পারেন তার জন্য নেওয়া হয়েছে এই কড়া পদক্ষেপ।
প্রসঙ্গত, আগামী শনিবার তিন ঘন্টার জন্য গোটা দেশের সমস্ত হাইওয়ে ও সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনরত কৃষক সংগঠনের সদস্যরা। কৃষকদের এই অবরোধের আহ্বান এর পরেই নড়েচড়ে বসেছে সরকার। দিল্লির গাজীপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া, উল্টোনো পেরেক, বোল্ডার, ব্যারিকেড সাজিয়ে তৈরি করা হয়েছে অভেদ্য দুর্গ।
প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ট্রাক্টর মিছিল চলাকালীন গাজীপুর সীমান্ত থেকে আসা আন্দোলনকারীরা পৌঁছে যায় লালকেল্লায়। এরপর লালকেল্লায় উত্তোলিত হয় ধর্মীয় পতাকা। একের পর এক ঘটনাক্রমে এর পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্টি হয় চরম বিশৃংখলা। নির্দিষ্ট রুটের বাইরে গিয়ে এভাবে লালকেল্লায় ঢুকে পড়া নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয় কৃষকদের একাংশের মধ্যেই। এমনকি এই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন থেকে সরে যায় দুটি কৃষক সংগঠন। এদিকে ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্তে জল, বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয় সরকার। এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের ভেঙে যাওয়া মনোবল ফের ফিরিয়ে আনেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকেত। তার নেতৃত্বে কৃষকরা জানিয়ে দেন, এক পা-ও পিছু হঠবেন না কৃষকরা। এরপর ফের দিল্লির সীমান্তে একজোট হচ্ছেন কৃষকরা। আন্দোলনকারী দর্শকদের সমর্থনে দিল্লিতে প্রবেশ করার ঘোষণা করেছে শিরোমনি অকালি দল ও ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন।