Highlightরাজ্য

মুসুল্লীদের বাড়িতে নামাজ আদায়ের পরামর্শ নাখোদা মসজিদ ট্রাস্টের

নিজস্ব সংবাদদাতা, টিডিএন বাংলা, কোলকাতা: দেশে ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে কোলকাতার ঐতিহ্যবাহী নাখোদা মসজিদ ট্রাস্টের পক্ষ হতে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। মুসুল্লিদের যথাসম্ভব বাড়িতে থেকে নামাজ আদায়ের পাশাপাশি একগুচ্ছ পরামর্শ সেখানে রাখা হয়। মসজিদগুলিতে আজান, নামাজ কোভিড বিধি মেনে নির্বাচিত গুটিকয়েকজনকে নিয়ে নামাজ পড়তে বলা হয়। সেই সঙ্গে গরীব, দুস্থদের জন্য দান-সদকা করতে আহ্বানও জানানো হয় মসজিদ ট্রাস্টের পক্ষ হতে।

নাখোদা মসজিদ ট্রাস্টের তরফে জারি করা ৮-দফা নির্দেশিকাটি নিম্নে তুলে ধরা হলো:

১) মুসলিমদের উচিত আল্লাহ মুখাপেক্ষী হয়ে অনুতপ্ত হওয়া, ক্ষমা-প্রার্থনা করা। বেশি বেশি করে দান-সদকা করা, দোয়া-দরুদ পাঠ করা। ঘরোয়া পরিবেশে থেকে ইসলামের হুকুম-আহকাম পালন করা।

৩) সরকার কর্তৃক জিন স্বার্থে ঘোষিত স্বাস্থ্য-বিধি মেনে দেশের সমস্ত মুসলিম এবং অন্যান্য নাগরিকের উচিত এখন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা-ফেরা করা। পাশাপাশি অন্যান্য সাবধানতা অবলম্বন করা। যেমন নিজের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা, প্রয়োজন ছাড়া যতটা সম্ভব বাইরে না বার হওয়া।

২) যেহেতু এই মারন ভাইরাস অতি দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছে এবং তা এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির মধ্যে সহজেই সংক্রমিত হয়ে চলেছে, এমতবস্থায় ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বাড়তি পদক্ষেপ নেওয়া আশু প্রয়োজন। সেজন্য, এখন ঘরে থেকেই নামাজ আদায় করা যুক্তি সঙ্গত। তবে, সীমিত পরিসরে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিছু নির্বাচিত ব্যক্তিদের নিয়ে মসজিদে নিয়মিত পাঁচবার আজান ও নামাজ আদায় করুন।

৩) যারা ঘরে নামাজ পড়ছেন তাদের নির্দিষ্ট সময়ে নামাজের সূচি অনুযায়ী, নিয়মানুবর্তিতার সঙ্গে নামাজ আদায় করে নেবেন।

৪) করোনা মহামারীর যখন চরম আকার নিয়েছে সে সময় ঘরে নামাজ আদায়ই যথেষ্ট হবে।

৫) সামাজিক ঐক্য অটুট রাখতে সবাই সকলের মতামতকে সম্মান জানান। অন্যের মতামতকে হেয় প্রতিপন্ন না করি।

৬) পরিবারে বয়স্ক বা শারীরিক ভাবে দুর্বল সদস্যদের প্রতি যত্নবান হোন। তবে স্বাস্হ্য সুরক্ষা মেনে তাঁদেরকে আলাদা রাখুন। তাদের দেখভাল করা একটি সম্মানজনক কাজ।

৭) সত্যতা যাচাই না করে এই রোগ সংক্রান্ত কোন মেসেজ অন্য কাউকে পাঠাবেন না। অধিকন্তু, এই ভাইরাস বা অন্য কোন রোগ নিয়ে হাসি-মশকরা করা থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন।

৮) মসজিদের ইমারা তাদের বক্তব্য, নসিহত ইত্যাদী মাইকেইর মাধ্যমে বা অন্যান্য গণ-মাধ্যমের সাহায্যে অব্যাহত রাখুন। তাদের উচিত মানুষকে পরিস্থিতির ভয়াবহতা নিয়ে সজাগ করা। আর মানুষকে সম্পূর্ণ আল্লাহর উপর নির্ভর হতে বলা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, দেশের এই দুর্দিনে, করোনা মহামারীর সময় মুসলিমরা প্রশংসনীয় ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে চলেছে। কভিড বিধি মেনে, মুখে মাস্ক পরে, সামাজিক দূরত্ব মেনে নামাজ হচ্ছে মসজিদ গুলিতে। পাশাপাশি বিভিন্ন মুসলিম, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোভিড রুগীদের সেবায় অনবদ্য ভূমিকা রেখে চলেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মসজিদগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে কোয়ারেনটাইন সেন্টার হিসাবে। জাকাতের টাকা দিয়ে অনেকে অক্সিজেন দিয়ে এগিয়ে আসছেন করোনা রোগীর সেবায়।

Related Articles

Back to top button
error: