টিডিএন বাংলা ডেস্ক: সরিয়ে নেওয়া হয়েছে শৌচালয়ের ব্যবস্থা, বন্ধ করা হয়েছে জল সরবরাহ। এত কষ্টের মধ্যেও নিজেদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন আন্দোলনরত কৃষকরা। কনকনে ঠান্ডার মধ্যে তাদের ওপর জলকামান দেখেও সরানো যায়নি তাদের। নিজেদের অবস্থানে অনড় কৃষকদের একটাই দাবি সরকার আইন প্রত্যাহার না করে নিলে সিংহ সীমান্ত থেকে তারা এক চুলও নড়বেন না। কৃষকরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দিল্লি পুলিশের আচরণ তাঁদের হতাশ করলেও মনোবল ভাঙতে পারেনি।
প্রসঙ্গত, দিল্লিতে কৃষকরা যাতে আর কোনো ভাবেই প্রবেশ করতে না পারেন সেই লক্ষ্যে পাঞ্জাব ও দিল্লির সংযোগস্থল সিংঘু সীমান্তে দেড় কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে ৪-৫ ফুট চওড়া কংক্রিটের দেওয়াল মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে। যার পেছনে রয়েছে পাঁচটি স্তরের ব্যারিকেড। এরপর মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছে উল্টোনো পেরেক।
শুধু তাই নয়, দিল্লির সীমান্তে কৃষকদের আন্দোলন ভঙ্গ করতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জল, বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট পরিষেবা। দিল্লি থেকে এতদিন যে জলের ট্যাঙ্কার আসত তা কংক্রিটের দেয়াল পেরিয়ে কৃষকদের কাছে পৌঁছতে পারছে না। হরিয়ানা থেকে কিছুটা জল আসছে ঠিকই কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। একই অবস্থা হরিয়ানা সীমান্তেও।আন্দোলন স্থল থেকে খানিকটা দূরেই স্তুপীকৃত হয়ে জমছে ডিসপোজেবল খাবারের থালা এবং বাটি।
জলের পাশাপাশি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে চলমান শৌচাগারের ব্যবস্থা। ফলত: প্রকাশ্যেই শৌচকর্ম সারতে হচ্ছে আন্দোলনরত কৃষকদের।আন্দোলন স্থলে থাকা মহিলাদেরও একইভাবে প্রকাশ্যেই সারতে হচ্ছে শৌচকর্ম। এককথায় সম্পূর্ণ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। যদিও এই কঠিন পরিস্থিতিতেও তাদের মনোবল এতটুকুও ভেঙে যায়নি। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে নিজেদের জিরো মনোভাবের কথা জানিয়ে পাঞ্জাবের পাটিয়ালা থেকে আন্দোলনে সামিল কুলজিত সিংহ জানিয়েছেন,”আমরা কৃষক। প্রয়োজন পড়লে মাটি খুঁড়ে টিউবওয়েল বসিয়ে নেব। সরকার যদি ভেবে থাকে এ ভাবে আমাদের ভয় দেখানো যাবে, তা হলে খুবই ভুল ভেবেছে। ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত না করে গ্রামে ফিরে যাওয়ার প্রশ্নই নেই।”